বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরীর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জন কমান্ড্যান্ট এবং ছ’জন অতিরিক্ত পুলিস সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে ৩৮ প্ল্যাটুন পুলিস কর্মীর উপস্থিতিতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে এদিন ভোর চারটে থেকে শুরু হয় স্নানযাত্রার আগের মাঙ্গলিক কাজকর্ম। ভক্তরা যাতে কোনওভাবেই শহরে ঢুকতে না পারে, সেই কারণে সাতটি জোনে ভাগ করা পুরীর বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে নাকা চেকিং। রীতি অনুযায়ী ‘মইলামা’, ‘অবকাশ’, ‘সূর্যদেব’ এবং ‘দ্বারপাল’ পুজো শেষে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হয় মূল স্নানযাত্রা পর্ব ‘জলেরচানা লাগি’। এই পর্বেই নানা সুগন্ধী মেশানো ৩৫ পাত্র জল দিয়ে স্নান সেরেছেন জগন্নাথ দেব। ভগবান বলভদ্রের স্নানে ব্যবহার করা হয়েছে জল ভরা ৩৩টি পাত্র। দেবী সুভদ্রার স্নানের জন্য বরাদ্দ ২২টি এবং ভগবান সুদর্শনের জন্য ১৮টি পাত্র। স্নানযাত্রার পর প্রথা অনুযায়ী জগন্নাথ দেবের ‘হাতিবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রভুর স্নানযাত্রায় এদিন ১৫০ জন দৈতাপতি এবং ৩০ জন সেবায়েত মিলে বাছাই করা মোট ২০০ জন অংশ নেন। প্রচলিত ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী স্নানযাত্রার পরেই প্রবল জ্বরে কাহিল হয়ে পড়েছেন জগন্নাথ দেব। টানা ১৫ দিনের বিশ্রামে এদিন রাতেই ‘অনসর গৃহে’তে পৌঁছে গিয়েছেন প্রভু। করোনা বিপর্যয়ের এই পর্বে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ শেষে আগামী ২০ জুন জগন্নাথ দেব ফের প্রকট হবেন। এরপর ২৩ জুন রথযাত্রা।