বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
দেশজুড়ে লকডাউনের পরিবর্তে এখন আনলক পর্ব চলছে। অর্থাৎ, করোনাকে সঙ্গে নিয়েই স্বাভাবিকতায় ফেরার মরিয়া চেষ্টা। কিন্তু এখনও বড় শহরগুলিতে ক্রমশ বেড়ে চলা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। সরকারি কর্তারা বলছেন, এই অবস্থায় গ্রামাঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এপিডেমিওলজিস্ট তথা কেন্দ্রের টাস্ক ফোর্সের উপদেষ্টা নমন শাহের আশঙ্কা, গ্রামাঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধি বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কারণ সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাব রয়েছে।
বিহারের সরকারি তথ্য বলছে, এই রাজ্যে ১ জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৭২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২ হাজার ৭৪৩ জনের সংক্রমণ পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে সম্পর্কিত। অধিকাংশ শ্রমিকই ফিরেছেন দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও গুজরাত থেকে। একই হাল ঝাড়খণ্ডেও। রাজ্যের এক স্বাস্থ্যকর্তার দাবি, মে মাসের ২ তারিখের পর থেকে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক।
আক্রান্তের সংখ্যায় এই মুহূর্তে দেশে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানেও গ্রামাঞ্চলের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। কারণ মুম্বই সহ রাজ্যের বড় শহরগুলি থেকে শ্রমিকরা গ্রামে ফিরছেন। ফলে গ্রামাঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলির পক্ষে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। সাতারা জেলার এক কর্তা বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ এই গতি বজায় থাকলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে হাতে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। নাহলে গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসা করা মুশকিল হয়ে পড়বে।