পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে কিছু হাসপাতাল মোটা বিল ধরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি যদি করোনার চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন, তাহলে খরচের ঊর্ধ্বসীমা কী হতে পারে তা জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অভিষেক গোয়েঙ্কা নামে এক ব্যক্তি। তারই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়ে একটি নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এনিয়ে শীর্ষ আদালতের ব্যাখ্যা, সব বেসরকারি হাসপাতালকেই বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা করতে বলা হচ্ছে না। কিন্তু যারা সরকারের কাছ থেকে হাসপাতাল তৈরির জন্য সস্তায় জমি পেয়েছে, তারা তো একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগীকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতে পারে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চলা শুনানি পর্যবেক্ষণ করে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে প্রশ্ন করেন, 'আমি শুধু জানতে চাইছি আয়ুষ্মান ভারতের নির্ধারিত অর্থে হাসপাতালেগুলি চিকিৎসা পরিষেবা দিতে রাজি আছে কি না?'
কেন্দ্রের ওরফে হাজির থাকা সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে বলেন, সমাজের প্রান্তিক স্তরের মানুষের জন্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। যাঁদের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই, তাঁদের জন্যই চালু করা হয়েছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প।
একইসঙ্গে সলিসিটার জেনারেল জানান, সরকারের কাছ থেকে জমি পেয়ে যারা হাসপাতাল চালাচ্ছে, তাদের বিনা পয়সায় কোভিড রোগীদের চিকিৎসা করতে বলার মতো কোনও আইন নেই। তবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারে।
মামলার আবেদনে করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো এবং আরও বেশি করে বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়। বিমা সংস্থাগুলিকেও এক্ষেত্রে চিকিৎসার সময় সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া এবং বিমার আওতাধীন ব্যক্তিরা যাতে ক্যাশলেস চিকিৎসার সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করার আর্জি রাখা হয় মামলার আবেদনে।