পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কনস্টেবল ইন্দর সিং যাদব। বর্তমানে ভারতীয় রেলের ‘পোস্টার বয়’। স্বয়ং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলই তাঁর গায়ে এই তকমা সাঁটিয়েছেন। তুলনা টেনেছেন উসেইন বোল্টের সঙ্গেও। বলেছেন, ‘বোল্টকেও যেন পিছনে ফেলে দিয়েছেন যাদব। তাঁর জন্য ভারতীয় রেল গর্বিত।’ যাদবকে কুর্নিশ শুধু কথায় নয়, তাঁকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে মোদি সরকার। কিন্তু সেই ট্রেনের পরিষেবা বিবিধ প্রশ্নের মুখে। বিস্তর অভিযোগ। জল নেই, খাবার নেই, তীব্র গরমে ঠাসা ভিড়, দমবন্ধ হওয়ার জোগাড়। এমন যন্ত্রণায় মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও সামনে আসছে। চরম ভোগান্তির যেন শেষ নেই! এর মধ্যেই যাদবের হাত ধরে রেল পরিষেবার উল্টো ছবি দেখল গোটা দেশ।
ভোপাল স্টেশনে রেল নিরাপত্তা বাহিনীর কনস্টেবল যাদব। রেল সূত্রে খবর, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বেলগাঁও থেকে গোরক্ষপুর ফিরছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক হাসিন হাশমি। তাঁদের কোলে মাস চারেকের সন্তান। দুধ না পেয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছিল সে। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালেও দুধ মিলছিল না। ট্রেনটি ভোপাল স্টেশনে পৌঁছতেই দুধের জন্য ফের চেষ্টা করেন দম্পতি। প্লাটফর্মে কর্তব্যরত যাদবকে অসুবিধার কথা জানান তাঁরা। তড়িঘড়ি দুধের খোঁজে স্টেশনের বাইরে ছুট দেন তিনি। দুধের প্যাকেট হাতে তিনি যখন প্ল্যাটফর্মে ঢুকছেন, ততক্ষণে চাকা গড়াতে শুরু করেছে ট্রেনের। গতিও বাড়ছে ক্রমেই। প্রাণপনে দৌড় শুরু করেন যাদবও। শেষে নির্দিষ্ট কোচের সামনে এসে মায়ের হাতে তুলে দেন দুধের প্যাকেট। দীর্ঘশ্বাস ফেলে যাদবের শুধু একটাই কথা, ‘বেশ ভালো লাগছে।’