বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
কেরলের পালাক্কড় জেলার ঘটনা। মুখের ভিতর গভীর ক্ষত নিয়ে টানা প্রায় দু’সপ্তাহ বেঁচে ছিল হাতিটি। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে লোকালয়ে ঘুরেও বেড়াচ্ছিল সে। কোনওকিছুই মুখে তুলতে পারছিল না। শেষে বন্যজীবনে ফিরে নদীতে নেমে পড়ে সে। সম্ভবত যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতেই সে নদীতে নেমেছিল বলে বনকর্তারা মনে করছেন। এবং সেখানেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে হাতিটি। তার দেহ ময়নাতদন্তের পরই বুধবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন রাজ্যের বনকর্তা আশিক আলি ইউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্টটি ভাইরাল হতেই ধিক্কারের ঝড় বয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন বলিউড তারকা থেকে শুরু করে পশুপ্রেমীরা। সন্দেহের তির স্থানীয় গ্রামবাসীদের দিকে। তবে, বুধবার রাত পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিস। জেলা বনদপ্তর ও পুলিস যৌথভাবে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
পালাক্কড় জেলার ‘সাইলেন্ট ভ্যালি’র জঙ্গল ছেড়ে মাঝে মধ্যেই লোকালয়ে চলে আসে হাতির দল। মূলত খাবারের খোঁজেই তাদের এই অভিযান। ওই অন্তঃসত্ত্বা হাতিটিও খিদে মেটাতে গ্রামে ঢুকে পড়েছিল। তখনই গ্রামবাসীরা আনারসের ভিতর বাজি ঢুকিয়ে সেটিকে খাওয়ানোর ফাঁদ পাতে। গ্রামবাসীদের এমন ধূর্ত বুদ্ধি টের পায়নি অবলা জন্তুটি। পাওয়ার কথাও নয়। আনারসটি শুঁড়ে তুলে মুখে নিতেই বিস্ফোরণ। বনকর্তা আশিক আলি বলেছেন, ‘কমপক্ষে ২০ দিন আগে ঘটনাটি ঘটেছে। তিনদিন আগে জঙ্গলের ভিতর থেকে হাতির দেহটি উদ্ধার করা হয়। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম অনাহারে কিংবা জলে ডুবে হাতিটি মারা গিয়েছে। গতকাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসতেই আমরা তাজ্জব বনে যাই।’ এমন ভয়ঙ্কর ফন্দি এঁটে অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে মেরে ফেলার ঘটনায় মুষড়ে পড়েছে বলিউড। হাতিটির মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন অনুষ্কা শর্মা, বরুণ ধাওয়ান, আলিয়া ভাট, শ্রদ্ধা কাপুর, রণদীপ হুডা, আথিয়া শেট্টিরা। অবিলম্বে পশুদের উপর এই নিষ্ঠুরতা রুখতে কঠোর আইন প্রয়োগ করে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা। সরব হয়েছেন টলিউডের একাধিক তারকাও। অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য ট্যুইট করেছেন, ‘মানুষ সবাইকে মারে। মারতে চায়। মারতে পারে।’ পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় খবরের লিঙ্ক শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমরা ভাইরাস ডিজার্ভ করি।’ অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী হতাশ হয়ে লিখেছেন, ‘বলার মতো আমার কাছে আর কিছুই বেঁচে নেই।’ ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রও। তিনি লিখেছেন, ‘লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায়। এই অত্যাচার দেখে রক্ত ফুটতে থাকে। এটা কেমন পৃথিবী?’