বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) মুম্বই আফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল কে এস হোসালিকর বলেন, বেশি প্রভাব পড়েছে মুম্বই, থানে, রায়গড় ও পালঘরে। ঝড়ের সঙ্গেই তুমুল বৃষ্টি চলছে উপকূলীয় জেলাগুলিতে। ঝড়বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর মহারাষ্ট্র, পুনে ও আহমেদনগরও। গতকাল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, ঝড়ের সময় তাঁরা যেন বাড়িতেই থাকেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদি উদ্ধবকে ফোন করে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। এদিন দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ চালানোর জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন উদ্ধব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অনবরত জেলাশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঝড় আছড়ে পড়ার আগেই আলিবাগের থাল এলাকা থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রায়গড় জেলায় অসংখ্য গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলার কাজ চলছে। এই জেলায় ১৩ হাজার ৫০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। মুম্বইয়ে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে সাহায্যের জন্য ৮টি দল তৈরি রেখেছে নৌবাহিনী। প্রস্তুত উপকূলরক্ষী বাহিনীও। মুম্বইয়ে সমুদ্র লাগোয়া এলাকাগুলি থেকে ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ১৫০ জন করোনা আক্রান্তকে বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সের একটি কেন্দ্র থেকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। সান্তাক্রুজে বাড়ির চালের উপর সিমেন্টের ব্লক পড়ে তিনজন জখম হয়েছেন। মানুষের পাশে দাঁড়াতে কন্ট্রোল রুল খুলেছে মুম্বই কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতে জলোচ্ছ্বাস ও প্রবল বৃষ্টির জেরে বিপাকে পড়েছিল একটি জাহাজ। সেই জাহাজে আটকে পড়া অন্তত ১০ জন নাবিককে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। পুনেতে নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ঝোড়ো হাওয়ায় পড়ে গিয়েছে বহু গাছ।