বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রথম দেশের বাণিজ্য নগরীতে সাইক্লোন আছড়ে পড়ার শঙ্কা। স্বাভাবিকভাবেই মুম্বই সহ আশপাশের জেলাগুলিতে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এমনিতেই করোনা মহামারীর জেরে বেসামাল আরব সাগর তীরের ওই শহর। তারউপর সাইক্লোন ধেয়ে আসার খবর উদ্বেগ বাড়িয়েছে অনেকটাই। সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। উপকূল এলাকা থেকে দ্রুততার সঙ্গে মানুষজনকে সরানো হচ্ছে। তাঁদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ের। মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফের ৩৩টি টিমকে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্যের আগাম প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে ভিডিও কনফারেন্সে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
নিসর্গ আছড়ে পড়ার পর মুম্বইয়ের উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রের ঢেউ দু’ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। বাংলাদেশের নাম দেওয়া প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অন্যান্য ক্ষতির পাশাপাশি মহারাষ্ট্র উপকূলে ব্যাপক ভূমিধসেরও আশঙ্কা করছেন অনেকে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে উপকূল এলাকা। গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হয়েছে ২০ হাজারের বেশি মানুষকে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে জেলাশাসকদের আগাম ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যে সমস্ত হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে না, সেগুলিকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
এনডিআরএফের ডিরেক্টর জেনারেল এস এন প্রধান জানিয়েছেন, গুজরাতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি ও মহারাষ্ট্রে ১৬টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ৪৫ জন করে সদস্য রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি কাটার যন্ত্র সহ বোট, প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে বলেছেন, পশ্চিম উপকূলে ‘নিসর্গ’ আছড়ে পড়ার শঙ্কা। আমাদের তরফে সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে থানে, পালঘর, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ প্রভৃতি জেলাকে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখেই ত্রাণকাজে শামিল হতে বলা হয়েছে সবাইকে।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রবল শক্তিশালী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড়টির। শক্তি সঞ্চয় করে সে ধেয়ে যাবে উত্তরদিকে। কিন্তু পরে বাঁক নিয়ে উত্তরপূর্ব দিকে ঘুরে বুধবার আছড়ে পড়বে মহারাষ্ট্রের উপকূলে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এটি সুপার সাইক্লোনের চেহারাও নিতে পারে। মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি গোয়া থেকে ২৪০ কিমি দক্ষিণ۔পশ্চিমে এবং গুজরাত থেকে প্রায় ৭১০ কিমি দক্ষিণ۔দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘণ্টায় ১১ কিমি গতিতে এগচ্ছে সে।