গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন জয়গাঁয় জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মাও। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভুটানে আটকে থাকা ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে ৫১ জনই কোচবিহার জেলার বাসিন্দা। ৩১ জন আলিপুরদুয়ার জেলার, পাঁচজন বাঁকুড়ার। বাকি শ্রমিকরা উত্তর দিনাজপুর, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার। এদিন ভুটান থেকে জয়গাঁয় আসার পর ওই শ্রমিকদের প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। রাজ্য সরকারের নির্দেশে জেলা প্রশাসন ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে তাঁদের জেলায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এদিন জয়গাঁয় ভুটান গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ওই শ্রমিকদের স্বাগত জানিয়ে জেলা পরিষদের মেন্টর বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে ভুটানে আটকে থাকা এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে আনা হল। আমরা খুশি। জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা বলেন, ভুটানে আটকে থাকা কিছু শ্রমিকে এদিন দেশে আনা হল। এরপরেও কেউ ভুটানে আটকে থেকে রাজ্যের কাছে আবেদন করলে তাঁদেরও ধাপে ধাপে রাজ্যে বা দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
এদিন জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ওই শ্রমিকদের প্রত্যেককে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পানীয় জলের বোতল ও খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়। জেলা পরিষদের অভ্যর্থনায় অভিভূত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভুটানে কাজে যাওয়া ওই শ্রমিকরা। নিজেদের জেলায় ফিরে যাওয়ার পর তাঁদের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
নিজেদের দেশে ফিরে আসতে পেরে রাজ্যের ওই শ্রমিকরা প্রত্যেকেই ভীষণ খুশি। জয়গাঁয় এসে পরিযায়ী শ্রমিকরা প্রত্যেকেই আনন্দ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। বাড়ি ফেরার আনন্দে অনেকে কেঁদেও ফেলেন। আলিপুরদুয়ারের বিজয় দাস বলেন, ভুটানে থাকার সময় পরিবারের কথা ভেবে রাতে ঘুমই আসত না। সবসময় পরিবারের সদস্যদের কথা মনে হতো। এখন কয়েকটা দিন ভালো করে ঘুমাতে পারব। কোচবিহারের দেওয়ানহাটের বাসিন্দা জাহানুর আলম বলেন, চারমাস ভুটানে কি যে উদ্বেগে দিন কাটিয়েছি তা ভাষায় বলে বোঝাতে পারব না। আর কোনও দিন ভুটানে যাব না। নিজের এলাকাতেই কাজ খুঁজব।