পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুধু রথযাত্রাই নয়, আসন্ন স্নানপূর্ণিমা, বহুদা (মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দির থেকে ফেরা) যাত্রা এবং রথযাত্রা শেষে জগন্নাথ দেবের মূল মন্দিরে অধিষ্ঠান, সবকিছুতেই ব্রাত্য রাখা হচ্ছে ভক্তকুলকে। এমনকী বাৎসরিক রীতি প্রভু জগন্নাথ দেবের ‘সোনাবেশ’ দেখার সৌভাগ্যও এবার হবে না কারও। বাছাই করা কয়েকজন সেবাইত, দৈতাপতি এবং পুলিস কর্মীদের উপস্থিতিতে বের হবে জগন্নাথ দেবের ‘নন্দী ঘোষ’, দেবী সুভদ্রার ‘ দর্প দলন’ এবং বল রাম দেবের ‘তাল ধ্বজা’ নামের রথ তিনটি। শনিবারই ওই তিনটি রথের সঙ্গে ৪২টি চাকা যুক্ত করা হয়েছে। আগামী ২৩ জুন হিন্দুদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্বে উল্টো রথ এবং পুনরায় জগন্নাথ দেবের অধিষ্ঠান পর্যন্ত পুরীর মূল মন্দির এবং গুণ্ডিচা মন্দির বন্ধ রাখা হবে।
এসজেটিএমবি সূত্রে জানা গিয়েছে, রথযাত্রার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই পুরীতে ঢোকা এবং বের হওয়ার সমস্ত রাস্তা ‘সিল’ করা হচ্ছে। পুরী শহরের যে রাস্তা গ্রান্ট রোড বা বড় দণ্ড দিয়ে রথ যায়, সেই রাস্তাতেও সাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হবে। এদিকে পুরীতে ভক্তদের প্রবেশাধিকার ঠেকাতে অন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গেই ইস্ট -কোস্ট রেল ও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। পুরীগামী সমস্ত ট্রেনকে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ, সোমবার থেকে যাত্রা শুরু করা পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস এবং শিয়ালদহ - পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেসও ভুবনেশ্বর পর্যন্তই চলবে।
পুরীতে চলছে রথ বানানোর কাজ। ছবি: পিটিআই