দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ৩১ মে: সংস্পর্শ এড়াতে এবার ট্রেনে বিশেষ ম্যাগনিফায়িং গ্লাস দিয়ে টিকিট পরীক্ষা করবেন টিটিইরা। পরিচিত কালো কোট এবং টাইয়ের পরিবর্তে তাঁদের পরতে হবে পিপিই, ফেস শিল্ড, হেড কভার, মাস্ক ও গ্লাভস। আগামীকাল, ১ জুন থেকে সারা দেশে অতিরিক্ত ২০০টি (১০০ জোড়া) স্পেশাল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করছে রেলমন্ত্রক। রেল জানিয়েছে, আগামীকাল প্রথম দিনই ১ লক্ষ ৪৫ হাজার যাত্রী রেলে ভ্রমণ করতে চলেছেন। ১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই ১০০ জোড়া ট্রেনে বুকিং হয়েছে প্রায় ২৬ লক্ষ টিকিট। যাত্রা শুরুর আগেই টিকিট পরীক্ষকদের জন্য এই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রেলবোর্ড। করোনা সংক্রমণ আটকাতে বিশেষভাবে সচেতন থাকার কথা বলা হয়েছে টিটিইদের। যেহেতু বর্তমানের পরিস্থিতিতে অন্য অন-বোর্ড রেলকর্মীদের তুলনায় টিকিট পরীক্ষকরাই সাধারণ মানুষের সবথেকে কাছাকাছি আসছেন। রেলবোর্ডের ডিরেক্টরের (প্যাসেঞ্জার মার্কেটিং) জারি করা ওই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত জোনাল রেলের প্রিন্সিপাল চিফ কমার্সিয়াল ম্যানেজারদের কাছে।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট স্পর্শ না করেই যাতে টিটিইরা তা পরীক্ষা করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই তাঁদের ম্যাগনিফায়িং গ্লাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমণ এড়াতে কোট এবং টাই না পরলেও নাম সহ ‘ডেজিগনেশন ব্যাচ’ আটকাতে হবে বুকে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পিপিইয়ের পাশাপাশি টিটিইদের প্রত্যেককে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সাবান দিতে হবে। প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্টের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি না, নজর রাখতে হবে তার উপরও। করোনা সংক্রমণের দৌলতে রেলের ১৬৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার টিকিট পরীক্ষকদের চিরাচরিত পোশাকের বাইরে অন্য পরিধানে ডিউটি করতে দেখবেন যাত্রীরা। একইসঙ্গে টিটিইদের রেস্ট রুম নিয়েও বিশেষ যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রেস্ট রুম নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে কি না, তা সুনিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট ডিআরএমদের। যতবার ডিউটি শেষে তাঁরা রেস্ট রুমে যাবেন, প্রতিবার ফ্রেশ লিনেন দিতে হবে। রেস্ট রুমে রান্নার ব্যবস্থা করতে হবে। বাইরে থেকে কিনে আনা খাবার খাওয়া যাবে না। ডিউটিতে যোগ দেওয়ার আগে বাধ্যতামূলকভাবে থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। কাল থেকে যে ১০০ জোড়া অতিরিক্ত স্পেশাল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে, তাতে বাংলার ১৫টি রুট রয়েছে।