বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, ভানুপ্রকাশের বাড়ি ওই জেলাতেই। তাঁর বৃদ্ধা মা গুরুতর অসুস্থ। তিনি শাহজাহানপুর জেলার একটি হোটেলে কাজ করতেন। লকডাউনের পর কাজ হারিয়ে বাড়িতেই বসেছিলেন ভানুপ্রকাশ। শুক্রবার রেল লাইনের ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিস। ভানুপ্রকাশের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন কাজ না থাকার ফলে তাঁর সঞ্চিত টাকা ফুরিয়ে গিয়েছিল। অত্যন্ত বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সুসাইড নোটে ভানুপ্রকাশও লিখে গিয়েছেন, ‘সরকার আমাদের পরিবারের জন্য শুধু গম ও চালের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু সংসারের অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যেমন, তেল, চিনি, দুধ, নুন কেনার পয়সা আমার কাছে নেই। জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েও আমি কোনও সুরাহা পাইনি। তাই মৃত্যু ছাড়া আমার সামনে আর কোনও পথ খোলা ছিল না।’
ভানুপ্রকাশের দেহ উদ্ধারের পর ঘুম ভেঙেছে যোগী সরকারের। তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক শৈলেন্দ্রকুমার সিং বলেছেন, ‘চলতি মাসের শুরু থেকেই ভানুপ্রকাশের পরিবারকে রেশন দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি, তাঁর পরিবারে খাদ্যশস্যের অভাব ছিল না। তা হলেও কী কারণে তিনি আত্ম্যহত্যা করেছেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। প্রশাসনের তরফে তাঁর পরিবারকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা হবে।’