পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কারণ, সত্যিই যদি ওই নমুনাগুলিতে করোনার অস্তিত্ব মেলে, তা হলে তার প্রভাব হবে খুব মারাত্মক। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে বন্যজীবনেও। সেই আশঙ্কায় এখন থরহরিকম্প উত্তরপ্রদেশের মিরাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। নাওয়া-খাওয়া ভুলে ধূর্ত বাঁদরদের খুঁজে বের করতে হিমসিম খাচ্ছেন বনকর্তারা। কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। শনিবার রাত পর্যন্ত খবর, নমুনা নিয়ে পলাতক একটি বাঁদরকে ধরা তো
দূরের কথা, চিহ্নিতও করতে পারেননি বনকর্তারা।
গতকালের ঘটনা। মিরাট হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত সন্দেহে তিন ব্যক্তির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই তিনটি কিট নিয়ে একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান হাসপাতালের মুখ্য সুপার ধীরাজ বালানের কাছে যাচ্ছিলেন। হেঁটে যাওয়ার সময় একদল বাঁদর তাঁকে ঘিরে ধরে। আচমকাই তাঁর হাতে ধরা কিটগুলি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় বাঁদরগুলি। সটান উঠে পড়ে গাছের মগডালে।
ঘটনার ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাছের ডালে বসে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাঁদর। তাদের একজন কিটগুলিকে দাঁত দিয়ে ছিঁড়ছে। জড়ো হয়ে সেই দৃশ্য দেখছেন হাসপাতালে আসা রোগীরা। তাঁদের চিৎকার, চেঁচামেচিতেও ভ্রুক্ষেপহীন বাঁদরের দল। উদ্বিগ্ন হাসপাতালের সুপার পরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এর আগেও হাসপাতাল চত্বরে বাঁদরদের উৎপাতে বহু কাজ পণ্ড হয়েছে। তবে এবার যে ওরা কোভিড নমুনার কিট ছিনতাই করবে, তা ভাবতেই পারছেন না তিনি। এদিকে, ফের ওই তিন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।