দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, আজ প্রকাশিত জিডিপি বৃদ্ধির হারের সঙ্গে করোনা সঙ্কট অথবা লকডাউনের সময়সীমায় অর্থনীতির মন্দার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, আজ প্রকাশিত রিপোর্ট ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের। যা গত ৩১ মার্চ সমাপ্ত হয়েছে। তাই লকডাউনের প্রভাবে অর্থনীতি কতটা মন্দায় আক্রান্ত, তার আভাস পাওয়া যাবে চলতি আর্থিক বছরে এপ্রিল থেকে জুন এই ত্রৈমাসিকের হিসেব যখন আসবে, তখন। আগামী আগস্ট মাসে প্রকাশিত হবে ওই রিপোর্ট।
তবে আজ প্রকাশিত রিপোর্টও সরকারের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত বছরের আগস্ট মাস থেকে একের পর এক আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে। সেই প্যাকেজে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছিল, নির্মাণ শিল্পে ২৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল, ঋণ প্রদানেও একগুচ্ছ সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তার কোনওরকম প্রতিফলন জিডিপি বৃদ্ধির হারে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। লকডাউনের আগে এত প্যাকেজ দেওয়ার পরও অর্থনীতি যদি সামান্য ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবণতা না দেখায়, তাহলে লকডাউন পরবর্তী সময়ের আর্থিক লেনদেন যখন সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল, সেই পটভূমিতে আগামীদিনে কতটা সম্ভব অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে সরকারকে।
সরকারের সবথেকে বড় চিন্তা কর্মসংস্থান নিয়ে। গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা অর্থনীতির অন্যতম সঙ্কট অসংখ্য কর্মহীনতা। পরিযায়ী শ্রমিকরা ছাড়াও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরাও ধাক্কা খেয়েছেন বিপুল। সংগঠিত সেক্টরেও চাকরি চলে যাওয়া, বেতনে ব্যাপক ছাঁটাই হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে নিছক খাদ্যশস্য বিলিতে সীমাবদ্ধ না থেকে, সরাসরি গরিবের ব্যাঙ্কে টাকা দেওয়া হোক অন্তত তিনমাসের জন্য। এখনও অবশ্য সেরকম কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, অর্থমন্ত্রক শ্রমমন্ত্রককে বলেছে, কত মানুষ কর্মহীন হয়েছে, কোন কোন সেক্টরে কর্মহীনতার প্রবণতা বেশি ইত্যাদি তথ্য পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে।