পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওয়েবসাইট বলছে, এদিন পর্যন্ত দেশে ৪ হাজার ৭০৬ জন মারা গিয়েছেন। মৃতের সংখ্যায় এদিন চীনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত। করোনার উৎপত্তিস্থল হিসেবে সন্দেহ করা চীনে এখনও পর্যন্ত ৪,৬৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সক্রিয় আক্রান্তের হিসেবে বিশ্বে আমেরিকা, ব্রাজিল, রাশিয়ার পরেই রয়েছে ভারত। দেশে এদিন সকাল পর্যন্ত ৭১ হাজার ১০৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থতার হার প্রায় ৪৩ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৬০ হাজার ও ২ হাজার ছুঁতে চলেছে। শুধু এরাজ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় আড়াই হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় দেড় হাজার শুধু মুম্বইতেই। সেখানে আক্রান্ত সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ১১৬ জন পুলিসকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৩ জন। পুলিসে মোট সংক্রামিতের সংখ্যা ২,২০০ ছাড়িয়েছে। তামিলনাড়ুতে সংক্রমণের শিকার মোট ১৯ হাজার ৩৭২ জন, মৃত ১৪৫। রাজধানী দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১ হাজার ১০৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৩৪ ঘণ্টায় ৯৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণীশ সিশোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লিতে মোট সংক্রামিতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪০০-র কাছাকাছি। মৃত বেড়ে হয়েছে ৩৯৮ জন। এদিন দিল্লির এইমসে আরও ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। ইডির এক আপার ডিভিশন ক্লার্কের শরীরেও করোনা ধরা পড়ার খবর মিলেছে। এদিন রাজ্যসভার সচিবালয়ের আধিকারিকের দেহে সংক্রমণের খবরে সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের দু’টি তলা সিল করে দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞেদর উদ্বেগ বাড়িয়েছে অসম। একে সেখানে বন্যা দেখা দিয়েছে। তার মধ্যেই গত চারদিনে সেখানে আক্রান্ত সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। সংক্রামিত বেড়েছে ৪৮৮ জন। যেখানে আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার জাতীয় গড় ১৪ দিনের বেশি। এদিন দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট আক্রান্ত সংখ্যা ৮৮০-তে দাঁড়িয়েছে। গত ২৫ মে পর্যন্ত সেখানে মাত্র ৪০০ জন সংক্রমণের শিকার ছিলেন। ট্রেন এবং বিমানে অন্য রাজ্য থেকে আটকে থাকা ব্যক্তিরা ফেরায় সংক্রমণ বাড়ছে বলে প্রশাসনসূত্রে দাবি করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে এদিন কলকাতায় গার্ডেনরিচে কর্মরত এক সিআইএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে তথ্য জানার আইনে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে করোনা মোকাবিলার চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনতে কত খরচ হয়েছে জানতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তা দিতে অস্বীকার করা হয়েছে।