দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
গত সপ্তাহের তথ্য বলছে, মোট করোনা আক্রান্তের ১৫ শতাংশেরও কম রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২.২৫ শতাংশকে আইসিইউতে রাখতে হয়েছে, ১.৯১ শতাংশের ক্ষেত্রে অক্সিজেন লেগেছে এবং ০.০০৪ শতাংশ রোগীকে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দিতে হয়েছে। কিন্তু, বেসরকারি হাসপাতালে ৬ দিনের চিকিৎসায় এগুলোর গড় খরচ প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। যদি মাসখানেক চিকিৎসা চলে তাহলে অঙ্কটা গিয়ে দাঁড়াবে ১৬ লক্ষ টাকারও বেশি।
কিন্তু এত খরচ কেন? যেখানে করোনা নির্ণয়ের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার খরচ সাড়ে চার হাজার টাকার আশেপাশে। দিল্লি, মুম্বই এবং কলকাতায় সমীক্ষা চালানোর পর দেখা গিয়েছে, ওষুধ এবং পিপিই-এই দু’য়ের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে যাবতীয় ‘খরচ’। আর সঙ্গে যদি কো-মর্বিডিটি থাকে, তাহলে তো কথাই নেই।
একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। দিল্লিতে আইসিইউতে ভর্তি এক করোনা আক্রান্ত যুবক। বয়স ২০। ওষুধ বাবদ তাঁর দিনপ্রতি খরচ ১৩৪২ টাকা। সেই হাসপাতালেই আইসিইউতে ভর্তি বছর ৬০-এর এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি, সঙ্গে উপরি হিসেবে কো-মর্বিডিটি। ওষুধের জন্য তাঁর প্রতিদিনের খরচ একলাফে বেড়ে হয়ে গিয়েছে ১৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রায় ১০ গুণ। ছুটির সময় দেখা গেল, তাঁর বিলে লেখা আছে টোসিলিজুমাব বাবদ ৪০ হাজার ৫৪৮ টাকা দিতে
হবে তাঁকে। করোনা চিকিৎসার পরীক্ষামূলক ওষুধ। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ‘রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ নির্ণয়ের জন্য ‘বায়ো ফায়ার রেসপিরেটরি প্যানেল টেস্ট’ বাবদ ১৮ হাজার টাকার বিল ধরানো হয়েছে রোগীর পরিজনকে। আসলে এইসব কিছুর পিছনে গল্পটা সেই কো-মর্বিডিটির।
এবার আসা যাক পিপিই কিট প্রসঙ্গে। সাধারণত দিনে তিন থেকে পাঁচটি পিপিই লাগার কথা রোগী পিছু। প্রতিটির দাম ৭০০-১১০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু, পিপিই কিটের সংখ্যায় তারতম্য ঘটিয়ে বিল বাড়ানোর রোগ কমবেশি সবারই আছে বলে উঠে এসেছে সমীক্ষায়। নইলে কি আর দিনে ১০ হাজার টাকারও বিল ধরানো হয় পিপিই বাবদ। সমীক্ষক দলের মতে, ‘রোগীর বাড়ির লোক তো আর দেখতে আসছেন না ডাক্তার-নার্সরা ক’টা পিপিই ব্যবহার করেছেন!’