বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
দপ্তর সূত্রের খবর, ক্ষতির বহর যাচাই করার জন্য সব মিলিয়ে পাঁচটি বিভাগে ফুল-ফল-সব্জি বাগানকে ভাগ করা হয়েছে। বাগানের এক-তৃতীয়াংশের বেশি অংশে ক্ষতি হয়েছে, এমন জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার হেক্টর। আর তার থেকে কম ক্ষতির কবলে পড়েছে আরও অন্তত ৬০ হাজার হেক্টর জমি। এর মধ্যে ১ লক্ষ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে ফলেছিল নানা ধরনের সব্জি। মরশুমি অর্থকরী ফল হিসেবে আম, জাম, কাঁঠাল বা লিচুর পাশাপাশি পেঁপে বা কলাজাতীয় ফলের বাগান ধ্বংস হয়েছে অন্তত সওয়া লক্ষ হেক্টর জমির। সব্জি ও ফলের ক্ষতিই এবার উম-পুনের অন্যতম বড় আঘাত বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। দপ্তরের সমীক্ষা অনুযায়ী, ফুল ও পানের বরোজের ক্ষেত্রেও উম-পুন তাণ্ডবনৃত্য দেখিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণবঙ্গের আরও দু-তিনটি জেলা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ন’হাজার হেক্টর জমিতে তৈরি হওয়া পানের বরোজ নুইয়ে পড়েছে বাতাস ও জলের তোড়ে। পান পাতার হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০০ কোটি।
একইভাবে ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে চাষ হওয়া নানাবিধ ফুলের গাছ মিশে গিয়েছে মাটিতে। সঠিক এবং বিস্তারিত সমীক্ষা এখনও শেষ না-হলেও এই বিশাল ক্ষতির কারণে ফুল, ফল, পান এবং সব্জি চাষের উপর নির্ভরশীল অন্তত ১ কোটি মানুষের রুটিরুজিতে টান পড়তে চলেছে। আধিকারিকরা বলছেন, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না পেলে এই সব চাষের সঙ্গে যুক্ত গরিব বা নিম্নবিত্ত হাজার হাজার মানুষের ভবিষ্যৎ জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারকেই এব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।