বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকালে পাটনাগামী বিমান ছাড়বে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। বোডিং টাইম ঠিক ছ’টা। রাম সহ ১০ জন পরিযায়ী মজুরের হাতে টিকিট ধরিয়ে মনিবের নির্দেশ ছিল, বিমান ছাড়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে এয়ারপোর্টে পৌঁছে যেও। মনিব বলতে দিল্লির কৃষক পাপন গেহলট। তিগিপুর গ্রামের জোতদারও তিনি। ওই গ্রামেই ১৯৯৩ সাল থেকে মাশরুমের চাষ করে আসছেন পাপন ওরফে পাপ্পু। তাঁর এই মাশরুম খামারে প্রতি বছর কাজ করতে আসেন রামরা। তাঁদের বাড়ি বিহারের সমস্তিপুরে। মাশরুম চাষের ভরা মরসুম আগস্ট-মার্চ। আট মাস কাজ করার পর রামরা ফের বাড়ি চলে যান। টানা প্রায় ২০ বছর এভাবেই তাঁরা কাজ করে আসছেন পাপ্পুর কৃষি খামারে।
এ বছর মার্চেই রামদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু লকডাউনে তাঁরা আটকে পড়েছিলেন দিল্লিতে। পাপ্পুর ভাই নিরঞ্জন গেহলট বলছিলেন, ‘ওঁদের বাড়ি ফেরাতে আমাদের চিন্তার অন্ত ছিলনা। প্রথমে ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করলাম। পেলাম না। পরে ঠিক করি বিমানে করেই ১০ জন শ্রমিককে বাড়ি পাঠাব। কারণ, ওঁদেরকে নিরাপদে ঘরে ফেরানোই আমাদের কাছে জরুরি ছিল।’ সেই মতো ৬৮ হাজার টাকা খরচ করে বিমানের টিকিট কাটেন পাপ্পুরা। নগদ তিন হাজার টাকা করেও প্রত্যেকের হাতে তুলে দেন তাঁরা। এদিন সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এক শ্রমিক বলছিলেন, ‘বিমানে চড়ার স্বপ্ন এভাবে পূরণ হবে, তা কল্পনা করতেও পারছি না।’ বলেই মহানুভুব মনিবকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে টার্মিনালের দিকে রওনা দিলেন ওঁরা। সত্যিই এমন পাপ্পু-নিরঞ্জনের মতো যদি মালিক পেতেন পরিযায়ী শ্রমিকরা!