বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
এদিনও দেশে নতুন করে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৬ হাজার ৫৬৬ জন। এই নিয়ে লাগাতার এক সপ্তাহ ৬ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এক লাফে দেশে সংক্রামিত বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৩৩। পরিসংখ্যান বলছে, রাতের মধ্যেই সংক্রমণের নিরিখে তুরস্ককে ছাপিয়ে বিশ্বে নয় নম্বরে উঠে আসবে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও হয়েছে রেকর্ড সংখ্যক। কেন্দ্রের হিসেবে ১৯৪ জন। গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মারা গিয়েছেন মোট ৪ হাজার ৫৩১ জন। সক্রিয় আক্রান্ত ৮৬ হাজার ১১০।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩,২৬৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৪২.৭৫। ভারতে মৃত্যুহার কমার পাশাপাশি সুস্থতার হার বাড়াকে ভালো ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
সারা দেশে এখন প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। গত ১২ দিনে সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে রয়েছে ৬ লক্ষের বেশি মানুষ। গুজরাতে সংখ্যাটা প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ, উত্তরপ্রদেশে সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি।
মহারাষ্ট্রের সংক্রমণের শিকার ৫৭ হাজারের কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৯৭ জনের। সেরাজ্যে ২২ জন পুলিসকর্মী করোনায় মারা গিয়েছেন। আক্রান্ত মোট ২৩৬ জন অফিসার, ১ হাজার ৮৫৯ জন কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিসকর্মী। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ জনেরও বেশি পুলিস সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে লকডাউন ভাঙায় ১ লক্ষ ৬ হাজারের বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জরিমানার অঙ্ক মোট ৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা।
দিল্লিতে সংক্রামিতের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৫৭। মৃত্যু হয়েছে ৩০৩ জনের। তামিলনাড়ুতে সংখ্যাটা সাড়ে ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে লকডাউন ভাঙায় ৫ লক্ষেরও বেশি এফআইআর দায়ের হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৮ কোটির বেশি টাকার। গুজরাটে আক্রান্ত ১৫ হাজার ১৯৫, মৃত ৯৩৮। মধ্যপ্রদেশেও মৃত্যু হয়েছে ৩১৩ জনের।
মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় ব্যাপক সফল ছিল কেরল। দেশ তো বটেই, বিদেশেও পিনারাই বিজয়ন সরকারের কাজের প্রশংসা হয়েছে। সেই সময় রাজ্যে আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার সময় ছিল ১০০ দিনের বেশি। বেশ কিছু দিন কোনও আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এখনও কেরলে মৃত্যুর সংখ্যা ৩। যা দেশে সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যান ভরসা দিচ্ছে সরকারকে।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এদিন পর্যন্ত দিল্লি এইমসে ১৯৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যার মধ্যে দু›জন ফ্যাকাল্টি, ৫ জন রেসিডেন্ট ডাক্তার এবং ২১ জন নার্স। গত দু›দিনে ৫০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী সেখানে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এদিনও ২৮ জন কর্মীর দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। বুধবার ৪৬০টি অভ্যন্তরীণ বিমানে ৩৪ হাজার ৩৩৬ জন যাত্রী যাতায়াত করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ পুরী। পিপিই কিট পরেই চলছে সেলুনের কাজ। ছবি: পিটিআই