পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার সকালে আইসিএমআর-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, আরটি পিসিআর, ট্রু ন্যাট এবং সিবি ন্যাট— এই তিন ধরনের করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র মিলিয়ে দেশে এক নম্বরে আছে মহারাষ্ট্র। তাদের মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৬। দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিলনাড়ু, পরীক্ষাকেন্দ্র ৭০টি। তিনে রয়েছে কর্ণাটক, পরীক্ষাকেন্দ্র ৫৯। চারে অন্ধ্র্রপ্রদেশ, ৫২টি। পাঁচ নম্বরে যুগ্মভাবে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাত। দুটি রাজ্যেরই পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন জানাচ্ছে, ২৭ এপ্রিল— এক মাস আগে রাজ্যে মোট করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল মাত্র ১৪টি। সেখানে সর্বশেষ প্রাপ্ত হিসেব অনুযায়ী, ২৬ মে’র করোনা বুলেটিন জানাচ্ছে, রাজ্যে করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪টি! অর্থাৎ, এক মাসে তা বেড়ে প্রায় আড়াইগুণ হয়েছে। আইসিএমআর অবশ্য রাজ্যকে আরও এগিয়ে রেখে জানিয়েছে, বাংলার করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮।
কীভাবে সম্ভব হল এটা? করোনা পরীক্ষার কো-অর্ডিনেশন টিমের এক সদস্য জানালেন, যক্ষ্মা দূরীকরণ কর্মসূচির আওতায় রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্তরের সরকারি হাসপাতালে টিবি পরীক্ষার ৭২টি সিবি ন্যাট মেশিন ছিলই। যক্ষ্মার এই মেশিনে করোনা পরীক্ষাও সম্ভব। দ্রুত সেটি বাস্তবায়িত করা হয়েছে মাত্র। তাও এই মেশিনের কার্টিজ এখন দেশজুড়ে অমিল। তাই ৭২টির মধ্যে হাতেগোনা ক’টি চালু করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ট্রু ন্যাট মেশিন চালু হয়েছে। আর টি পিসিআর-এর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পরিকাঠামো এতটাই ছড়ানো গিয়েছে যে, মহকুমা পর্যায়েও আরটি পিসিআর মেশিন বসানো হচ্ছে। শীঘ্রই সিউড়িতে এই মেশিন বসবে। আরও ১০টি কেনার বরাত দেওয়া হয়েছে। করোনা পরীক্ষার নেটওয়ার্ক এখন কাজ করছে বিদ্যুৎগতিতে। অন্তত এ ক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে রাজ্যকে হতাশ হতে হবে না— জানালেন এক শীর্ষ কর্তা।