গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ট্রয়ের সঙ্গে যু্দ্ধে সুবিধে করতে না পেরে একটা বিশাল মাপের কাঠের ঘোড়া নগরীর ফটকের সামনে রেখে চলে যায় গ্রিকরা। ট্রয়বাসীরা এই ঘোড়াটিকে তাঁদের জয়ের স্মারক ভেবে শহরের ভিতরে নিয়ে আসে। অথচ, সেই বিশাল কাঠের ঘোড়ার ভিতরে ঘাপটি মেরেছিলেন বাছাই করা গ্রিক যোদ্ধারা। রাতের অন্ধকারে তাঁরা ঘোড়া থেকে বের হয়ে খুলে দেন ট্রয়নগরীর দরজা। বাইরে তখন ঘাপটি মেরে থাকা গ্রিক সৈন্যরা ভিতরে ঢুকে আক্রমণ করে। ধ্বংস হয়ে যায় ট্রয়নগরী।
ঠিক একইভাবে করোনা পরীক্ষা না করে রাজ্যকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে তেলেঙ্গানা প্রশাসন, সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন বিচারপতি। করোনা পরীক্ষা কম হাওয়ায় রাজ্যে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। মারণ ভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে এমন গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচটি মামলা আদালতে জমা পড়ে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানেই তীব্র সমালোচিত হয়
চন্দ্রশেখর রাও সরকার। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে পরীক্ষা হচ্ছে না জানিয়ে আদালত বলেছে, মানুষের জীবনের মূল্যই হল সুশাসনের আধার। রাজ্য সরকার আদালতে জানিয়েছে, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯২০ জনের করোনা ধরা পড়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ জন। এরপর ১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত রাজ্যে কত করোনা পরীক্ষা হয়েছে (বিশেষ করে নির্মলা ও সূর্যপেট জেলায়) তার রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। একইসঙ্গে করোনা পরীক্ষা না করে কোনও ব্যক্তির মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। লকডাউন চলাকালীন যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরেছেন, তাঁদের মধ্যে কতজনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।