বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চে হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্ধ হয়ে যায় বাস, ট্রেন। ফলে ভিনরাজ্যে কর্মরতদের বাড়ি ফিরতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকে হাঁটা পথেই কয়েক হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাড়ি পৌঁছনোর চেষ্টা করেছে। সম্প্রতি রেল ‘শ্রমিক স্পেশাল’ চালু করে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু, শ্রমিকের সংখ্যার তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা নগণ্য হওয়ায় টিকিট পেতে কালঘাম ছুটেছে। মুম্বইয়ে কাজ করা রাজ্যের ওই তিন শ্রমিকেরও কাজ ছিল না। ফলে তাঁরা বাড়ি ফিরে আসার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করেন। কিন্তু টিকিট মেলেনি। অগত্যা মুম্বই থেকে কলকাতা আসার জন্য বিমানের টিকিট কাটবেন বলে ঠিক করেন তাঁরা। কিন্তু, মাসে ১৫ হাজার আয় করা শ্রমিকদের বিমানের টিকিট কাটার মতো অবস্থা ছিল না। তাই পোষা তিনটি ছাগল বেচে বিমান ভাড়া জোগার করেন এক শ্রমিক। এদিকে উম-পুনের জেরে রাজ্যে বিমান পরিষেবা ২৮ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে অনুরোধ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই অনুরোধ মেনে নেওয়ায় রাজ্যে বিমান পরিষেবা স্থগিত হয়ে যায়। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী ওই শ্রমিকদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে বিমান সংস্থা। বদলে সামনের যে বিমান ফাঁকা আছে, তার টিকিটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। বিষয়টি ট্যুইটারে জানাজানি হতেই ওই তিন শ্রমিকের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয় সরকার ও বিমান সংস্থা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীও ট্যুইটারে জানান, সমস্যার সমাধান হয়েছে। ইন্ডিগোও জানিয়ে দেয়, পরের বিমানের যে স্লট ফাঁকা আছে তাতেই তাদের তুলে দেওয়া হবে। অন্যথায় টিকিটের পুরো দাম ফেরত দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, ১ জুন তাদের টিকিটের ব্যবস্থা হয়েছে।