গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যদিও এসবে উদ্বেগ প্রকাশ না করে এদিন আশার কথাই শুনিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যুহার ভারতেই। একটি রেখাচিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বিশ্বে জনসংখ্যার নিরিখে প্রতি লক্ষে মৃতের সংখ্যা ৪.৪, ভারতে তা ০.৩। এর কারণ হিসেবে লকডাউনকেই প্রাধান্য দিয়েছেন যুগ্ম সচিব। ইন্ডিয়ান কাইন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) ডিরেক্টর জেনারেল ডাঃ বলরাম ভার্গব বলেন, মৃত্যুর হার বিচার করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ভারতে তা অত্যন্ত অদ্ভুতভাবে কম। এটা খুব ভালো একটা লক্ষণ। আশা করি এই বিষয়টাই যেন ধরা রাখা সম্ভব হয়। তবে মৃত্যুহার কম থাকার সঠিক কারণ বলা শক্ত বলেই মনে করেন তিনি। মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী সুস্থ হওয়ার হারও চোখে পড়ার মতো, ৪১.৬ শতাংশ। সামগ্রিক মৃতের হার ২.৮৭ শতাংশ। সেটাও বিশ্বে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছেন আগরওয়াল। শীঘ্রই দিনে ২ লক্ষ পরীক্ষা করার কথা জানিয়েছেন আইসিএমআর।
শুধু মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৯৫ জনের। আক্রান্ত ৫৩ হাজারের কাছাকাছি। ৮৮৮ জন মারা গিয়েছেন গুজরাতে। মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৩০০। তামিলনাড়ুতে সংক্রামিত ১৭ হাজার ৮২ জন, গুজরাতে ১৪ হাজার ৪৬০ জন এবং রাজধানী দিল্লিতে ১৪ হাজার ৫৩ জন। বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, ঝাড়খণ্ড, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড, মেঘালয়, পুদুচেরি, মিজোরাম, দাদরা- নগর হাভেলি ও লাদাখে করোনা সংক্রমণ ক্রমশই কমছে। দিল্লিতে গত চারদিনে ১১টি কন্টেইনমেন্ট জোন গ্রিন জোনের আওতায় এসেছে। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সিআইএসএফে ২০ জনের কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে। মুম্বইতে কিইএম হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত এক কর্মীর মৃত্যুর জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য আধিকারিকরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে তিন সপ্তাহ ব্যাপক আক্রান্ত বৃদ্ধি হওয়া পাঁচটি রাজ্যকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সেগুলি হল, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝা়ড়খণ্ড, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রাজ্যগুলির শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান।
বন্দে ভারত মিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে আটকে পড়া ৩২৯ জনকে ফিরিয়ে এনেছে এয়ার ইন্ডিয়া। ইজরায়েল থেকে আনা হয়েছে ১১৫ জনকে। চতুর্থ দফার লকডাউন শেষের আগেই শুরু হচ্ছে ট্রেন ও বিমান পরিষেবা। ঘরে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
তেষ্টা মেটানোর তাগিদ। -পিটিআই