গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কালরা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স অম্বিকা পি কে (৪৬) রবিবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারা যান। গত ২১ মে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপরই অম্বিকাদেবীর ছেলে সহ ওই হাসপাতালের অন্যান্য নার্সরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা অভিযোগ করেন, গ্লাভস, মাস্ক থেকে শুরু করে যাবতীয় পিপিই পুনর্ব্যবহার করতে হয়েছে। একই পিপিই একাধিক জনকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরতে হয়েছে। প্রতিবাদ করলে হাসপাতালের তরফ থেকে বলত, এটা কোভিড-১৯ হাসপাতাল নয়। তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। একই পিপিই ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও নার্সদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের মালিক আর এন কালরা দাবি করেছেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুত আছে। প্রত্যেক কর্মীর মধ্যে সেগুলি বণ্টন করা হয়েছে। তবুও অভিযোগের তদন্ত হবে। যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়, তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মৃত নার্সের ছেলে অখিল অভিযোগ করেছেন, গত দশ বছর ধরে তাঁর মা এখানে কাজ করতেন। কয়েকদিন ধরে মায়ের শরীর ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে। মা আমাকে জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে পিপিই দিচ্ছে না। একটি পিপিই অনেকে মিলে ব্যবহার করছেন। অভিযোগ জানিয়ে লাভ হচ্ছে না। উল্টে মাস্কের দাম চাইছে হাসপাতাল। তিনি বলেন, ‘আমি মাকে বাড়িতে থাকতে বলেছিলাম। শোনেননি।’