বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত শুক্রবার ৬ হাজার ৮৮, শনিবার ৬ হাজার ৬৫৪ এবং রবিবার ৬ হাজার ৭৬৭ আক্রান্ত বেড়েছিল। গত চারদিনের রেকর্ড বলছে মোট ২৬ হাজার ৪৮৬ জন সংক্রামিত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থা এবং লকডাউনে ছাড় বজায় থাকলে জুন মাসে খারাপ সময় আসতে চলেছে বলেই তাঁরা মনে করছেন। ইরানেও দৈনিক আক্রান্ত সংখ্যা কমায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। তারপরই মে মাসে সেখানে প্রায় দ্বিগুণ হারে আক্রান্ত বেড়েছে। ভারত এখনই ইরানকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এপিডেমোলজিস্টরা। এই মুহূর্তে ১৩.১ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে রোগীর সংখ্যা।
বিশ্বের আক্রান্তের পরিসংখ্যানে এখন দশম স্থানে ভারত। নবম স্থানে থাকা তুরস্কে সংক্রামিতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৭ হাজার। এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে চলতি সপ্তাহেই তুরস্ককে ছাপিয়ে যেতে পারে ভারত। এই হারে আক্রান্ত বৃদ্ধির জন্য করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধিকেই প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখন দিনে প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষা হচ্ছে দেশে। তবে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
আরও উদ্বেগজনক একটি নজির তৈরি করেছে মুম্বই। দৈনিক আক্রান্ত বৃদ্ধির সংখ্যায় বিশ্বের শহরগুলিতে শীর্ষস্থান দখলের দিকে এগচ্ছে দেশের বাণিজ্যনগরী। সাও পাওলো-মস্কোর এখনও এই তালিকায় শীর্ষে। দুই শহরেই এই হার দিন দিন কমছে। কিন্তু মুম্বইতে তা এখনও কমার নাম নেই। দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সংক্রামিতের সংখ্যা ৫০ হাজার এবং মৃত ১ হাজার ৬০০ অতিক্রম করেছে। তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার ৩০০, মৃত্যু হয়েছে ১১১ জনের। গুজরাতে আক্রান্ত ১৪ হাজার পার করেছে। মারা গিয়েছেন ৮৫৮ জন। দিল্লিতে এক সপ্তাহ আগে লকডাউন আংশিক প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারপরেও সংক্রমণ বাড়ছে। মন্ত্রকের হিসেবে সেখানে আক্রান্ত সাড়ে ১৩ হাজারের কাছাকাছি এবং মৃতের সংখ্যা মোট ২৬১। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর মতে, তিনি শুধু দু›টি বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারেন। মৃত্যুর সংখ্যা যদি ব্যাপক বৃদ্ধি পায়, অথবা আক্রান্ত বাড়ায় শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে যায়। একমাত্র তাহলেই বলা যাবে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কারণ, এই ভাইরাস এক-দু›দিনে যাওয়ার নয়। তাই মানুষের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগের কারণ হতে পারে না। বিকেলে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজধানীতে আক্রান্ত বেড়ে ১৪ হাজার পার করেছে। মৃত বেড়ে হয়েছে ২৭৬। নাগাল্যান্ডেও এদিন নতুন করে আক্রান্ত ধরা পড়েছে।
অন্যদিকে, এদিন রাজধানীতে রেলভবনের আরও এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর দেহে করোনা ধরা পড়েছে। গত ১৯ মে পর্যন্ত দপ্তরে এসেছেন তিনি। তাঁর সংস্পর্শে আসা ৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে দু›সপ্তাহের মধ্যে রেলের সদর দপ্তরের মোট ৫ জন কর্মী আক্রান্ত হলেন।
মেলেনি যানবাহন। অগত্যা বাড়ি ফিরতে ভরসা ঠেলাগাড়ি। এলাহাবাদে তোলা এএফপির ছবি।