শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
টানা প্রায় দু’মাস পর দিল্লি থেকে বিমান উড়ল চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পুনে বা ভুবনেশ্বরের উদ্দেশ্যে। সচল ছিল মুম্বই বিমানবন্দরও। একেবারে নয়া ধাঁচে শুরু হল পরিষেবা। এবং এতটাই নতুন যে, বহুদিনের চেনা বিমানবন্দরও অচেনা ঠেকেছে বহু যাত্রীর। আর হবে নাই বা কেন? সাধারণ নিরাপত্তায় আঁটোসাঁটো নিয়ম তো ছিলই। তার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে অদৃশ্য ‘শত্রু’ কোভিড। ফলে দীর্ঘতর হয়েছে বিধিনিষেধের তালিকা। কোভিড-বধের মোক্ষম অস্ত্র মাস্ক ছাড়া বিমানবন্দরে ঢোকার জো নেই। থার্মাল স্ক্রিনিং ছাড়া বোর্ডিং পাসও মিলবে না। সঙ্গে রয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কড়া শাসন। সবমিলিয়ে আকাশপথে যাত্রা এখন ভয়াতুর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক মহিলা যাত্রী তো বলেই ফেললেন, ‘বিমানে উঠতে ভয় করছিল আমার। বড্ড নার্ভাস লাগছিল।’
লকডাউনের মধ্যে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা চালু নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিল কেন্দ্র। দীর্ঘ আলোচনার পর কয়েকটি রাজ্য বিমান চলাচলে সম্মতি দেয়। সেই মতো এদিন সকালে দিল্লি, চেন্নাই, পুনে, ভুবনেশ্বর, মুম্বইয়ের মধ্যে পরিষেবা চালু করে বেসরকারি উড়ান সংস্থা ইন্ডিগো। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পুনে, মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে প্রথম বিমান টেক-অফ করে। একটি বিমানের যাত্রী সংখ্যা ছিল মাত্র ২৭ জন। চেন্নাই থেকে ১১৬ জন যাত্রী নিয়ে ইন্ডিগোর একটি বিমান উড়ে আসে দিল্লিতে। নতুন নিয়মে বাঁধা পড়া যাত্রীদের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারে অন্যরকম। কেউ বলছেন, ‘কোভিড মোকাবিলায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে।’ কেউ বা বলছেন, ‘এখন কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। পরে স্বাস্থ্যবিধির কড়া শাসনে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন যাত্রীরা।’ তবে একবাক্যে সবাই স্বীকার করেছেন, ‘নবরূপে উড়ান পরিষেবা মোটের উপর ভালোই।’
এদিন দিল্লি থেকে সকালের বিমানে পুনে আসেন এক মহিলা। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী ছিলেন বিমানটিতে। দিল্লিতে আমাদের সবাইকেই থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। তারপরেই ছাড়পত্র মিলেছে বিমানে ওঠার। এইসব কঠোর নিয়মকানুন মানতে গিয়ে একটা আতঙ্ক গ্রাস করেছিল আমাকে। বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’ সংসদে বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে দিল্লিতে আটকে পড়েছিলেন ওড়িশার বিজু জনতা দলের এমপি অনুভব মহান্তি। এদিন তিনি ভুবনেশ্বর ফেরেন। দিল্লিতে বিমান ধরার আগে মহান্তি বলছিলেন, ‘টানা প্রায় দু’মাস পর বাড়ি ফিরছি। বিমান পরিষেবার নতুন কিছু নিয়মকানুন ধীরে ধীরে যাত্রীদের গা সওয়া হয়ে যাবে।’
কাজে যোগ দিলেন এক বিমানকর্মী। পিটিআই