পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১৫ সালে স্মার্ট সিটি মিশন নামে ৫ বছরের এই প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। বরাদ্দ করা হয়েছিল ২ লক্ষ ৫ হাজার ১৮ কোটি টাকা। বেছে নেওয়া হয়েছিল দেশের মোট ১০০টি শহরকে। প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এই মিশনের অধীনে ৫ হাজার ৮৬১টি প্রকল্প চলছে। এর মধ্যে মাত্র ৬৯টি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নির্মাণ। অর্থাৎ ১ শতাংশের কিছু বেশি। ৫৫টি শহরে নির্মীয়মান এই ৬৯টি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় খরচ হবে ২ হাজার ১১২ কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ, এই মিশনে বরাদ্দ মোট অর্থের মাত্র ১ শতাংশের কিছু বেশি। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি স্বাস্থ্যখাতে মোট যা ব্যয় করে, তার থেকেও কম এই অঙ্ক।
তথ্য বলছে, যে ৩০টি পুরসভা এলাকায় দেশের ৭৯ শতাংশ করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ১৭টি স্মার্ট সিটি রয়েছে। অথচ এর মধ্যে মাত্র ৭টি স্মার্ট সিটি প্রকল্পের টাকা সরাসরি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে। এর মধ্যে মূল তিনটি শহর হল ইরোদ, বেলাগাভী এবং টুমকুরু। ১০০০ কোটি টাকার কিছু বেশি অর্থ এখানে সরাসরি ব্যয় হয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নির্মাণে। দিল্লিতেও এই খাতে ৩৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। মেট্রো শহরগুলির তালিকায় যা বেশ উপরের দিকে। কিন্তু বাকিরা? কী করা হয়েছে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ দিয়ে? রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ১৭টি স্মার্ট সিটিকে মোট ৬৭৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রকল্প মাত্র ১১টি। ভোপাল, থানে, সুরাত, চেন্নাই, জয়পুরের মতো স্মার্ট সিটি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনও প্রকল্পই জমা দেয়নি। সুরাত অধিকাংশ অর্থ খরচ করেছে জল সরবরাহ প্রকল্পে, থানে পরিবহনে এবং চেন্নাই বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতিতে।
রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর স্মার্ট সিটি মিশনেরই এক আধিকারিক বলছেন, ‘স্বাস্থ্য কোনওদিনই স্মার্ট সিটিগুলির অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল না। কিন্তু কোভিড-১৯ দেখিয়ে দিয়েছে সেই প্রয়োজনীয়তা। আসলে আমাদের বুঝতে হবে, আপনি তখনই অর্থনীতির চালিকাশক্তি হতে পারবেন, যখন আপনার জনগণ সুস্থ থাকবেন।’