পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন পুরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। করোনা মোকাবিলায় মূলত দু’টি মূল বিষয়ের ওপর নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন তাঁরা। এক, প্রচুর কোভিড-১৯ পজিটিভ কেস কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে এবং দুই, মৃত্যুহার কী করে কমানো সম্ভব। প্রচুর মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও পরিস্থিতি অভিনব উপায়ে সামাল দেওয়ার ব্যাপারে মডেল সিটি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে জয়পুর ও
ইন্দোর মেট্রোপলিটন এলাকাকে। অন্যদিকে, বড় শহরেও মৃত্যুহার কম রাখার বিষয়ে উদাহরণ হয়ে উঠেছে চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু। বর্তমানের দেশের বহু পুর এলাকাতেই দ্রুত আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার হার প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। পাশাপাশি, জাতীয় গড়ের থেকে বেশি হারে করোনা সংক্রামিত ও মৃত্যুর হার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে কন্টেইনমেন্ট জোনের পরিধি নির্ধারণ, বাফার জোনের ম্যাপিং, বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী নির্ধারণের মতো সমস্যাও। বিশেষ করে শহরগুলিতে ঘিঞ্জি বস্তি এলাকায় সংক্রমণের সম্ভাবনাও অনেকটাই বেশি।
এসব ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের পথ দেখিয়েছে এই চারটি শহর। জয়পুর ও ইন্দোরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগীর খোঁজ নেওয়া হয়েছে। আক্রান্তরা কার সংস্পর্শে এসেছেন সেই অনুসন্ধানও করেছেন তাঁরা। ইন্দোরে লেন-বাইলেনেও টহলদারি চালানো হয়েছে। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানই খোলা রাখতে দিয়েছে প্রশাসন। চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর হার জাতীয় মৃত্যুর হারের থেকেও অনেকটাই কম, ১ শতাংশের কাছাকাছি। এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আক্রান্তদের মধ্যে যেসব রোগীদের সত্যিই ভেন্টিলেটর প্রয়োজন, তাদেরই সেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই মৃত্যুর হার ওই দুই শহরে অনেকটাই কম। পাশাপাশি, মুম্বইতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে সমন্বয়রক্ষার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের বৈঠকে।