বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ফেরানোর কাহিনীটাও সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো। গত মঙ্গলবার নিষ্ঠাভরে বাড়িতে রোজা পালন করছিলেন বাসারিয়া। স্বামী ইব্রাহিম থাকেন শারজাতে। সেখানে একটি ছোট্ট জুতোর দোকান চালান তিনি। কলিংবেলের আওয়াজ শুনে দরজা খোলেন বাসারিয়া। দেখেন ইফতারের খাবার ভর্তি প্যাকেট হাতে এক যুবক দাঁড়িয়ে। কাশেরগড়ে সচারাচর ইফতারের খাবার বিনিময়ের রীতি নেই। স্বভাবতই ওই যুবককে দেখে তাজ্জব বনে যান বাসারিয়া। গলার স্বর নামিয়ে যুবকের কাছে তিনি জানতে চান, ‘প্যাকেটে কী রয়েছে? কে পাঠিয়েছেন?’ উত্তরে যুবক শুধু দু’টো কথাই বলেছেন, ‘আমি একজন ডেলিভারি বয়। প্যাকেটটি আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার দায়িত্ব।’ বলেই তিনি দ্রুত বেগে চলে যান।
বাসারিয়া চূড়ান্ত কৌতূহল নিয়ে প্যাকেটটি খুলে দেখেন। প্যাকেট ভর্তি খাবার। কী নেই তাতে! সুরু চালের ভাত, ঘি, মাংসের কারি, আরও কতকিছু। সঙ্গে একটি ছোট্ট গয়নার বাক্সও নজরে আসে বাসারিয়ার। বাক্সের উপর স্কুলের ছেঁড়া নোটবুক সাঁটানো। তাতে হাতে লেখা কয়েকটা কথা। ‘তুমি ২০ বছর আগে হারিয়ে ফেলেছিলে তোমার কোমরের গয়নার দু’টি সোনার কয়েন। আমি সেগুলি কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। এতদিন সযত্নেই আমার কাছে রাখা ছিল। আজ সেগুলি ফিরিয়ে নিয়ে আমাকে ক্ষমা করো।’ কয়েন দু’টি ফিরে পেয়ে আপ্লুত বাসারিয়া। সঙ্গে সঙ্গেই গয়নার বাক্সের ছবি তুলে স্বামীর হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দেন তিনি। ইব্রাহিম বলছিলেন, ‘সত্যিই এখন বেশ কঠিন সময়। এই সময়ে আমাদের বিয়ের স্মৃতি ফিরে পাব, ভাবতেই পারছি না।’ কিন্তু কে সেই ‘মহানুভব’ ব্যক্তি? বাসারিয়ার কাছে পরিচয় গোপনই রেখেছেন তিনি।