বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সিকিম, লাদাখ, উত্তরাখণ্ড সীমান্ত বরাবর চীন ও নেপালের সক্রিয়তা হঠাৎ করেই উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সিকিম এবং লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনা জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে সম্প্রতি। আহত হয়েছেন দু’পক্ষের বেশ কিছু সেনা। উত্তেজনা প্রশমন করে স্থানীয়ভাবে আলোচনায় বিষয়টি মিটে গিয়েছে বলে মনে করা হলেও, আদতে কিন্তু তারপর থেকেই লাদাখ সীমান্তজুড়ে চীন তাদের সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে চলেছে। একইভাবে লাদাখ, লে এলাকার যে একাধিক লেক রয়েছে সেখানেও চীনের অংশে টহলদারি নৌকার সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। আর চীনের এই অতি সক্রিয়তা দেখেই গত সপ্তাহে ভারতও লাদাখের এয়ারবেসে এয়ারফোর্সের দুটি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে।
ভারতের পক্ষ থেকে এই পাল্টা জবাব পেয়েই দু’দিন আগে চীন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ভারত যেভাবে লাদাখে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে, এরপর চীনও তার যোগ্য জবাব দেবে। ওই হুমকির পাল্টা উত্তর দিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক গতকাল বলেছে, ভারতীয় বাহিনীর স্বাভাবিক টহলদারিকেও চীন অস্বাভাবিক আখ্যা দিচ্ছে, এটা খুবই বিস্ময়কর। ভারত নিজের এলাকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। এই বাদানুবাদ আর বিবৃতির লড়াইয়ের মধ্যেই আবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী লাগাতার ভারতবিরোধী বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। উত্তরাখণ্ডের সীমান্তে ভারতের সড়ক নির্মাণ আটকে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে নেপাল। একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল সরকার জানিয়েছে, ভারতের মধ্যে থাকা তিনটি অঞ্চল আসলে নেপালেরই। ভারত যেন অবিলম্বে ওই জমি ছেড়ে দেয়। ভারত যথেষ্ট উদ্বিগ্ন নেপালের এই উগ্র আচরণে। এটা স্পষ্ট যে, নেপালকে ইন্ধন দিচ্ছে চীন। আগেও নেপালকে নিজেদের শিবিরে নিয়ে আসতে পরিকাঠামো নির্মাণে হাজার হাজার কোটি টাকার সহায়তা ঘোষণা করেছে বেজিং। কিন্তু নেপাল আগে কখনও এতটা ভারত বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করেনি, যা এখন করছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে ভারতের সেনাপ্রধান গতকাল লাদাখ সীমান্তে গিয়ে সেখানে মোতায়েন সেনা রেজিমেন্টের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নর্দার্ন আর্মি কমান্ডারও। ওই বৈঠক নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। আর তাই বেড়েছে রহস্য! কী চলছে ভারতের উত্তরতম সীমান্তে?