বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নির্মলা সীতারামনের এই বক্তব্যের একদিন আগেই তাঁর রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, সরকার কয়েকদিনের বিরতি নিয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারীতে প্রভাবিত ক্ষেত্রগুলির সাহায্যে আগামী দিনে আরও বড় ঘোষণা করতে চলেছে মোদি সরকার। দেশকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তোলার প্রয়াস চলবে।
শুক্রবার একটি সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, করোনা মহামারী এবং লকডাউনে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কিছুটা প্রশমিত করা এবং আর্থিক বৃদ্ধি বজায় রাখতে সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই অর্থ কোভিড-১৯ জেরে বিপর্যস্ত অর্থনীতির চাকা ফের ঘোরাতে সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথমে মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে খেয়াল রেখেছি। তারপরের পদক্ষেপ ছিল প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজ (১ লক্ষ কোটি টাকা) এবং তৃতীয় পদক্ষেপ ২০ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ। তবে, এখানেই শেষ নয়। তৃতীয় ঘোষণা পর সাময়িক বিরতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পদক্ষেপ নেওয়া থামেনি।
পর্যটন ক্ষেত্র আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিষেবা ক্ষেত্রও তেমনই গুরুতর। পাশাপাশি, অসামরিক পরিবহণ ক্ষেত্রও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি ক্ষেত্র শুধুমাত্র ভারতের জিডিপি বাড়ায় না, লক্ষ লক্ষ চাকরির সুযোগ তৈরি করে। তাই আমরা এই ক্ষেত্রগুলির ব্যাপারে ভীষণই উদার। এখানে আরও একটি বিষয় বলতে চাই, কয়েকটি ক্ষেত্র ইতিমধ্যেই সুবিধা পেয়েছে। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য একাধিক ঘোষণা হয়েছে। যাঁদের ছোট হোটেল, তাঁরাও আত্মনির্ভর ভারত যোজনার অধীনে সুফল পাবেন। সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই, এই বছর অর্থাৎ ২০২০ সাল পুনর্গঠনের বছর হিসেবে চিহ্নিত হবে।