রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সোমবার গোয়ালিয়র বেঞ্চে জামিনের মামলার শুনানির সময় বিচারপতি শীল নাগু বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত একাধিক ব্যক্তির জামিনের ক্ষেত্রে ‘কোভিড-১৯ যোদ্ধা’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের শর্ত রেখেছেন। বিচারপতি বলেন, অভিযুক্তরা তরুণ, মধ্যবয়সী, সুস্থ ও দায়িত্ববান নাগরিক। দেশ এখন করোনার দাপটে নাজেহাল। তাই এই দুঃসময়ে ওদের দেশের জন্য কাজ করা উচিত। আদালত জানিয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ৫১এ ধারা অনুযায়ী নাগরিকদের পরম কর্তব্য হল দেশের সেবা করা। এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের লোকবলের অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই, ‘কোভিড-১৯ যোদ্ধা’ হিসেবে অভিযুক্তদের কাজে লাগানো যেতেই পারে। এতে দেশের এই ঘোর বিপদের দিনে সমাজের খুবই উপকার হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য সবরকমের সাবধানতা অবলম্বন করেই তাঁরা করোনা বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য এই তথাকথিত ‘কোভিড-১৯ যোদ্ধা’দের কাজে লাগাবেন। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের আশা, এই ‘কোভিড-১৯ যোদ্ধা’রা দেশের প্রয়োজনের সময়ে নিজেদের সেরাটুকু দায়িত্বের সঙ্গেই মেলে ধরবেন। ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোডের জন্যও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে করোনার মোকাবিলায় ঘোষিত প্রয়োজনীয় সাবধানতা বিধি তাদের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে কিনা, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। জামিনের শর্ত হিসেবে এই সময় কোনও অপরাধ করা, বিদেশে পালিয়ে না যাওয়া, সাক্ষীদের ভয় না দেখানোর মতো নির্দেশগুলিও মেনে চলতে হবে। অন্যথায়, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। জামিনের শর্তগুলি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরাই।