বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবলিগ-ই-জামাতের সদর দপ্তর হল মার্কাজ নিজামুদ্দিন। বর্তমানে নিজামুদ্দিনকে দেশের বৃহত্তম করোনা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। পুলিস জানিয়েছে, গত মাসে অনুষ্ঠিত নিজামুদ্দিনের ওই সভায় কারা গিয়েছিলেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলার সেই তথ্য চেপে যান। পরে তাঁর সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারি পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। সংস্পর্শে থেকে আক্রান্ত হয়েছেন কংগ্রেস নেতার স্ত্রী ও কন্যা। বর্তমানে তিনজনকেই আম্বেদকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিসের এক পদস্ত আধিকারিক বলেছেন, ‘আমরা যখন তদন্ত করছিলাম, ওঁর শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ ছিল না। কিন্তু তদন্ত এগতেই জানা যায়, ওই ব্যক্তি নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।’ ওই আধিকারিক আরও বলেছেন, প্রথম দিকে বারবার নিজামুদ্দিনে যাওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেছিলেন। যদিও, তাঁর কল রেকর্ড খতিয়ে দেখতেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। এছাড়া তদন্তের সময়ই ওই নেতাকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁকে ঘরে পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পরার শঙ্কায় দীনপুরের প্রায় ২৫০টি বাড়ি সিল করে দিয়েছে পুলিস। সদস্যদের বলে দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন কেউ বাড়ি থেকে না বের হন। ১০ হাজার মোবাইল ফোনের রেকর্ড খতিয়ে দেখে নিজামুদ্দিনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে তার তদন্ত চলছে। পুলিস জানিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে যেখানে মানুষ মিথ্যা বলছে কিংবা সত্য গোপন করছে সেখানে আমাদের আক্রমণাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ্যদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দৈনিক বুলেটিনে তবলিগ-ই জামাতের প্রসঙ্গ থাকায় তা বাদ দিতে বলেছে দিল্লির সংখ্যালঘু কমিশন (ডিএমসি)। তারা জানিয়েছে, এর ফলে ইসলাম তথা মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ (ইসলামোফোবিয়া) ছড়াচ্ছে। এই মর্মে দিল্লির স্বাস্থ্যদপ্তরের অধিকর্তা ও সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন ডিএমসির চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল ইসলাম খান। তিনি লিখেছেন, বুলেটিনে উল্লেখিত জামাতের কলমের নামে সংবাদমাধ্যম ও হিন্দুত্ববাদীদের হাতে ‘ইসলামোফোবিয়া’র অ্যাজেন্ডা তুলে দেওয়া হচ্ছে। যার জেরে দেশজুড়ে মুসলমানদের উপর আক্রমণ, নির্যাতন হচ্ছে। এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা উল্লেখ করে ডিএমসি আরও লিখেছে, ধর্ম বা অন্য কোনও মাপকাঠিতে নোভেল করোনা ভাইরাসকে বিচার করা উচিত নয়। প্রসঙ্গত, রাজধানী দিল্লিতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হটস্পটের সংখ্যাও। বুধবার পর্যন্ত যেখানে দিল্লিতে হটস্পট ছিল ২০টি, সেখানে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫। তালিকায় নয়া সংযোজন নিজামুদ্দিন সংলগ্ন দু’টি এলাকা — সদর বাজার ও বাঙালি মার্কেট। সংক্রমণ প্রতিরোধে সিল করে দেওয়া হয়েছে দিল্লির বহু এলাকা।