গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মাত্র ৪২ জন আক্রান্ত ওড়িশায়। মারা গিয়েছেন দু’জন। তাতেও করোনাকে হাল্কাভাবে নেননি নবীন পট্টনায়েক। এদিন এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘ওড়িশার মন্ত্রিসভা লকডাউনের মেয়াদ বাড়াচ্ছে এবং কেন্দ্রকেও একই পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করছে। মানুষের খাদ্য সুরক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষি, পশুপালন, একশো দিনের কাজ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবে।’ এছাড়া, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রেন ও বিমান চলাচল বন্ধ রাখার জন্যও কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মহারাষ্ট্রের হাল ওড়িশার চেয়ে কয়েকগুণ সঙ্গীন। মোট আক্রান্ত ১১৩৫জন। একদিনে সেখানে সংক্রমণের শিকার ১০০-রও বেশি। মারা গিয়েছেন মোট ৭২ জন। এদিন মুম্বইয়ে আরও ৭৯টি সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছ। বাণিজ্য নগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৭৫জন। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে। সেখানে এদিন আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে সেখানে তিনজনের মৃত্যু হল। মোট আক্রান্ত ১৪। গোটা এলাকা সিল করা হয়েছে। ডাক্তার ও নার্সদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোয় মুম্বইতে ব্রিচক্যান্ডি সহ চারটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে এক লক্ষ টেস্ট কিট কেনার কথা জানিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা।
মৃতের সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাত। ওই দুই রাজ্যেই ১৬ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে এদিন করোনায় এক চিকিত্সকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। দেশের মধ্যে তিনিই প্রথম ডাক্তার, যিনি এই মারণ ভাইরাসের বলি হলেন। রাজধানী দিল্লিতে মারা গিয়েছেন ৯ জন। তামিলনাড়ু এবং পাঞ্জাবেও ৭ জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তের হিসেবে মহারাষ্ট্রের পর রয়েছে তামিলনাড়ু (৭৩৮), দিল্লি (৬৬৯), তেলেঙ্গানা (৪৪২) এবং উত্তরপ্রদেশ (৪১০)।
এদিন করোনা নিয়ে আশার খবর দিয়েছে আইসিএমআর। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে আইসিএমআরের এক আধিকারিক জানান, গতকাল পর্যন্ত ভারতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার ৩ থেকে ৫ শতাংশ। এই হার গত দু’মাস ধরে প্রায় একই রয়েছে। চীন, ইতালি বা আমেরিকায় যা গুণিতক হারে বেড়েছে। সেদিক থেকে দেখলে এখানে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি বলাই চলে।
অন্যদিকে, পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট নিয়ে আতঙ্কের নিরসন করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, যাঁরা সরাসরি করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসছেন তাঁদের পুরো পিপিই প্রয়োজন। বাকিদের জন্য এন-৯৫ মাস্ক এবং গ্লাভসই যথেষ্ট। একটা মাস্ক ৮ ঘণ্টা ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে হরিয়ানার পাঁচকুলায় সমীক্ষা চলাকলীন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে।