সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি, ৯ এপ্রিল: কেন্দ্রের কারণেই করোনার কবলে গোটা দেশ। দেশজুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য আজ মোদি সরকারের দিকে এভাবে আঙুল তুললেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। প্রসঙ্গত, গতকাল সর্বদল বৈঠকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার ১১ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনাও হবে। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আজ এআইসিসির আয়োজনে বিশেষ অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনে রায়পুর থেকে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেন, ১১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী কী বলেন আগে দেখি। তারপর মতামত জানাব। তবে এভাবে কোনও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না বলে আচমকা টিভিতে এসে দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা ঠিক হয়নি। রাজ্যগুলি এতে ব্যাপক অসুবিধের সম্মুখীন হয়েছে।
একইসঙ্গে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর সওয়াল, করোনা বিদেশ থেকে আসা একটি রোগ। তাই গোড়াতেই কেন আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ করা হল না? কেন সিল করা হল না আন্তর্জাতিক সীমান্ত? রাহুল গান্ধীও সরকারকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু সরকার কানে নেয়নি। গোড়াতেই বিষয়টি শক্ত হাতে মোকাবিলায় নামলে আজ এভাবে গোটা দেশকে করোনার মতো মহামারীতে ভুগতে হত না বলেই দাবি করেন তিনি। মোদি সরকারের পরিকল্পনার অভাবেই আজ মহামারী বলেও তোপ দাগেন ভূপেশ বাঘেল।
তিনি বলেন, ছত্তিশগড়ে প্রথম আক্রান্ত হন লন্ডন থেকে আসা একজন। ১৫ মার্চ তাঁর টেস্ট হয়। ১৮ মার্চ করোনা পজিটিভ হতেই ওই ব্যক্তি যেখানে থাকেন সেই এলাকা সিল করে দিই। লাগু হয় ১৪৪ ধারা। পরে ২১ মার্চ (সাতটি রাজ্যের সঙ্গে) সীমানা সিল করা হয়। বিদেশ থেকে ছত্তিশগড়ে আসা ২,১০০ জনকেই পাঠানো হয় কোয়ারেন্টাইনে। সেই কারণেই ছত্তিশগড় সুফল দেখছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ছত্তিশগড়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জন করোনায় আক্রান্তের মধ্যে ন’জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত একজনেরও মৃত্যু হয়নি। তাই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গোটা দেশকে ‘ছত্তিশগড় মডেল’ অবলম্বন করারই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।