বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির আয় মার্চ মাসেই কম হয়েছে বিপুল অঙ্কের। জিএসটি আদায়ের পরিমাণ ফেব্রুয়ারি থেকেই কমতে শুরু করেছে। মার্চ থেকে শুরু লকডাউন। এপ্রিল গোটা মাসই চলে যাবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। মে মাসে কী হবে, কতটা ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে তাও অজানা। সুতরাং ধরেই নেওয়া হচ্ছে জুন পর্যন্ত পরিস্থিতি একই থাকবে। রাজ্য সরকারগুলির আর্থিক অবস্থা সম্পূর্ণ ধসে পড়বে। ইতিমধ্যেই একঝাঁক রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতনে কোপ দিয়েছে। আগামীদিনে বাকি রাজ্যগুলিও সেই পথেই হাঁটতে পারে। কারণ আয় নেই। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সবথেকে বৃহৎ ব্যয় একটাই। সময়মতো বেতন ও পেনশন দেওয়া। কেন্দ্রীয় সরকারকে সমস্ত রাজ্য বকেয়া জিএসটি তো বটেই, অতিরিক্ত আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। আজও সংসদীয় দলের বৈঠকে রাজ্যকে আর্থিক প্যাকেজ দিতে বলা হয়েছে। তারপরই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা রাজ্যগুলিকে দেওয়া হচ্ছে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ। এই নিয়ে মোট ৩৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে রাজ্যগুলিকে। কিন্তু সবথেকে বড় যে প্রশ্ন এসেছে সেটি হল, জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা কেন্দ্র রাজ্যকে দেবে বলে জিএসটি আইনেই বলা হয়েছে। কিন্তু গোটা দেশ লকডাউন থাকবে অথবা এক টাকাও জিএসটি আদায় হবে না, এরকম সম্ভাবনার কথা জিএসটি কাউন্সিলের দুঃস্বপ্নেও ছিল না। সুতরাং এই করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের জেরে জিএসটির যে ক্ষতি হল, সেই টাকা কী কেন্দ্র দেবে? রাজ্যগুলিকে এই প্রশ্নই বেশি ভাবাচ্ছে। প্রত্যাশিতভাবেই এই নিয়ে আগামীদিনে প্রবল টানাপোড়েন শুরু হবে। কারণ ওই নিয়মটি চালু হয়েছিল এটা ধরে নিয়ে যে জিএসটি আদায়ের বার্ষিক বৃদ্ধিহার ১৪ শতাংশ হবে এবং সেই মতোই রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু লকডাউনের কারণে বৃদ্ধি তো দূর অস্ত, জিএসটি আদায় নেগেটিভ রেটের দিকে যেতে চলেছে। সুতরাং লকডাউন এভাবে চললে কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজকোষে টান পড়বে।