গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এমনিতেই লকডাউনের পর ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও রেলযাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারির পথে হাঁটতে চলেছে মন্ত্রক। থার্মাল স্ক্রিনিং এবং ফেস মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক করার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে রেল। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের পর ‘লো অকুপেন্সি’ অর্থাৎ যাত্রী কম থাকার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন রেলমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকেরা। লকডাউনের আগে করোনার জেরে লো-অকুপেন্সির কারণ দেখিয়ে একের পর এক ট্রেন বাতিল করেছিল রেলমন্ত্রক। মনে করা হচ্ছে, লকডাউনের মেয়াদ ফুরনোর পর সেই একই পদ্ধতি ফের গ্রহণ করা হতে পারে। এক্ষেত্রে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে আইআরসিটিসির কাছে রেলবোর্ডের ট্রেন বুকিং সংক্রান্ত নিয়মিত খোঁজখবর রাখার বিষয়ে। লকডাউনের জেরে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত রেলের সমস্ত পিআরএস (প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম) কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে যাত্রীদের আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ই-টিকিট কাটতে হচ্ছে। যে কারণে টিকিট বুকিং সংক্রান্ত পুরো তথ্যই রয়েছে আইআরসিটিসির কাছে। সেই তথ্যই এখন খতিয়ে দেখছে রেলমন্ত্রক।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, রেলমন্ত্রক কোনও লাভজনক সংস্থা না হলেও কার্যত ফাঁকা ট্রেন চালানো তাদের পক্ষে কোনওমতেই সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে রেলের অপারেটিং রেশিওর উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকবে। এই পরিস্থিতিতে কোনও ট্রেনে যদি পর্যাপ্ত যাত্রী না হয়, তাহলে সেগুলি বাতিল করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করতে পারে মন্ত্রক। যদিও রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেন বাতিল হলে যেসমস্ত যাত্রী ওই ট্রেনে টিকিট বুকিং করেছিলেন, তাঁরা পুরো অর্থই ফেরত পাবেন। কোনও ক্যানসেলেশন চার্জ কেটে নেওয়া হবে না। অন্যদিকে, আজ রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় অস্থায়ীভাবে আড়াই হাজারেরও বেশি চিকিৎসক এবং প্রায় ৩৫ হাজার প্যারামেডিক্যাল কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে রেল। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ যদি আরও বৃদ্ধি পায়, তাহলে দেশে যাতে স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব না হয়, সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।