কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিশিষ্ট হেমাটোলজিস্ট এবং এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি’র প্রাক্তন প্রধান ডাঃ প্রান্তর চক্রবর্তী বলেন, যতদিন না পর্যন্ত করোনার সুনির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা আবিষ্কৃত হচ্ছে, আমাদের কাছে এই ভাইরাসের উত্তর বলতে আছেন সেইসব মানুষ, যাঁরা করোনাকে জয় করেছেন। যাঁদের অ্যান্টিবডি এই প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হয় ধ্বংস, নয়ত নিষ্ক্রিয় করেছে। তাই এই পদ্ধতির ব্যবহার বিজ্ঞানসম্মত বলেই মনে হচ্ছে। তবে সুস্থ রোগীর অ্যান্টিবডি-সমৃদ্ধ প্লাজমা সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া নিঁখুত ও নিরাপদ হওয়া প্রয়োজন। যাতে কোনওভাবেই অসুস্থ রোগী সুস্থ রোগীর শরীরে থাকা অন্য রোগজীবাণুতে আক্রান্ত না হয়ে পড়েন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এপ্রসঙ্গে বলেন, আমরা কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক করেছি। সেখানে ১০০টি বেড রয়েছে। প্লাজমা বদল করলে অনেকেই সুস্থ হয়ে যান। গবেষকরা কাজ করছেন। অনেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন বলে আমার কাছে খবর রয়েছে। বিশিষ্ট ফিজিশিয়ান এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের করোনা টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল বলেন, তিনটি মহামারীতে এই থেরাপির ব্যবহার হয়েছে। সেইসব ক্ষেত্রে হু স্বীকৃতিও দিয়েছিল। ল্যানসেটের মতো পৃথিবীখ্যাত জার্নালে এই ফেব্রুয়ারি মাসেই এ নিয়ে গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে। প্রাথমিক বেশ কিছু পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এতে রোগীর ভাইরাল লোড এবং হাসপাতালে থাকার সময় কমেছে। ইউএসএফডিএ স্বীকৃতি দিলেও হু এখনও দেয়নি। আমরা লক্ষ্য রাখছি।
নেচার সূত্রের খবর, এই পদ্ধতির ব্যবহার আজকের নয়, সেই ১৮৯০ সাল থেকে। ১৯১৮ সালের ভয়াবহ এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা মড়কের সময়, তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হয় এ নিয়ে। সুস্থ হয়ে ওঠা আক্রান্তদের রক্তের সিরাম দেওয়া হয় ১৭০০ রোগীকে। নেচার-এর দাবি, চীনের ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন-এর সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ লিয়ান ইউ জানিয়েছেন, অন্তত ১৩ জন রোগীর উপর সুস্থ হয়ে ওঠা আক্রান্তদের রক্তের প্লাজমা ব্যবহার করে সাফল্য মিলেছিল। আমেরিকার আরটুরো ক্যাসাডেভেল নামে নামকরা জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইমিউনোলজিস্ট জানুয়ারি মাস থেকে এই পদ্ধতির ব্যবহারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন