বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ৫ এপ্রিল উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার কেরান সেক্টরে শালবাটু এবং জুমগুন্দ এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি একে-৪৭, গ্রেনেড, জিপিএস এবং ওয়্যারলেস সেট উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ১ এপ্রিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কাসিম-২ পোস্ট দিয়ে ওই জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করে। সেনা ঘাঁটিতে আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল তাদের। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। একজনের নাম সাজ্জাদ আহমেদ হুররাহ, দ্বিতীয় জন আদিল হুসেন মির এবং তৃতীয় জনের নাম উমর নাজির খান। প্রথমজন সোপিয়ানের বাসিন্দা। বাকি দু’জন অনন্তনাগের। ২০১৮ সালে সাজ্জাদ এবং আদিলের নামে নিখোঁজ ডায়েরি হয় স্থানীয় থানায়। কিন্তু,পুলিস তল্লাশি চালিয়েও তাদের কোনও হদিশ পায়নি। এখন তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই দু’জন আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই তাদের জঙ্গি-প্রশিক্ষণ হয়। পুলিস জানিয়েছে, সাজ্জাদ পাকিস্তানে গিয়েছিল ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল। আর আদিল গিয়েছিল ২৭ এপ্রিল। তদন্তকারীদের দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হিজবুল গোষ্ঠীর বর্তমান নেতা গুলাম নবি খানের নেতৃত্বেই ওই দুই যুবক পাকিস্তানে গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। এই নবি খানের আদি বাড়ি কাশ্মীরের অনন্তনাগে।