পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সূর্যনগর এলাকায় এক করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন আইবি’র ওই গোয়েন্দা আধিকারিক। তারপর তিনি অফিসও করেন। এখবর জানার পরই পুরসভার তরফে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অফিসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, আগামী ১৪ দিন ওই অফিসের সমস্ত কর্মী ও অন্যান্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়। সূর্যনগর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৮ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছে। ওই এলাকাকে ‘নিয়ন্ত্রিত জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে পুরসভা।
এদিকে করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। যার জেরে প্রত্যন্ত এলাকায় ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না খাদ্যসামগ্রী এবং ওষুধ। এই পরিস্থিতিতে একতরফা সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করল মাওবাদীরা। রাজ্যগুলিকে এই প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পাঁচদিন সময়ও দেওয়া হয়েছে। গত ২১ মার্চ ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানের সময় মাওবাদী হামলায় সিআরপিএফের ১৭ জন জওয়ান প্রাণ হারান। তার প্রায় সপ্তাহ দু’য়েক পর এদিন মাওবাদীদের তরফে চিঠি দিয়ে এই ‘শান্তি প্রস্তাব’ দেওয়া হল। মাওবাদীদের নিজস্ব লেটারহেডে ৫ এপ্রিল তারিখে চিঠিটি লেখা হয়েছে। তেলেগু ভাষায় লেখা চিঠিতে মালকানগিরি-কোরাপুট-বিশাখা ডিভিশনাল কমিটির সম্পাদক কৈলাসম জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সম্পর্কে রাজ্য সরকারকে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন। অত্যন্ত সঙ্কটে থাকা রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসীদের কাছে খাবার, ওষুধ সহ অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী যাতে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ ওই মাও-নেতার কথায়, ‘সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় মালকানগিরি ও কোরাপুট জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসীরা সঙ্কটে পড়েছেন। তাই ওই এলাকায় ত্রাণের কাজে কোনও সরকারি আমলা বা কর্মীরা এলে তাঁদের উপর হামলা হবে না।’ তবে, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যদি নিরাপত্তারক্ষীদের তরফে হামলা হয়, তাহলে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা আক্রমণ করতে বাধ্য হবে মাওবাদীরা বলেই জানিয়েছেন কৈলাসম। চিঠিতে আরও দাবি করা হয়েছে, গ্রামের গরিব মানুষের কাছে সর্দি-কাশির ওষুধও মাওবাদীরা পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে তা যথেষ্ট নয়।
তাই সরকারের কাছে বিভিন্ন ভাতা, পেনশন ও রেশনে খাদ্যসামগ্রীর পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
সমাজকর্মীরা মাওবাদীদের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। বস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় পর্যায়ে গ্রামের প্রধান ও বুদ্ধিজীবীরা হিংসা বন্ধ রাখার জন্য মাওবাদীদের উপর ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন। সেই বিপুল সামাজিক চাপের মুখেই মাওবাদীরা এই প্রস্তাব দিতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, মাওবাদীদের ভয়েই প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারের পক্ষে ত্রাণ ও স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।