পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির ৪০তম প্রতিষ্ঠাদিবস। ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল অটলবিহারী বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আদবানিরা দল গঠন করেছিলেন। এই উপলক্ষে আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজেপি কর্মী সমর্থক সদস্যদের ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পাঁচটি কর্তব্য পালনের নির্দেশিকা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাসের এই সঙ্কটকালে গরিব মানুষ যেন রেশন দোকানের থেকে প্রাপ্য খাদ্যশস্য পায়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে বিজেপি কর্মীদের। দ্বিতীয়ত, মাস্ক তৈরি করে গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রত্যেক বিজেপি কর্মীকে নিজেদের বুথ এলাকায় যে মানুষেরা নিরন্তর করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে সেবাকার্য চালাচ্ছেন সেরকম নার্স, সাফাইকর্মী, পুলিশ, সরকারি কর্মচারী, ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরকর্মীদের ধন্যবাদপত্র দিতে হবে। চতুর্থ নির্দেশিকা হল, কেন্দ্রীয় সরকার করোনা নিয়ে যে অ্যাপ তৈরি করেছে, সেই ‘আরোগ্য সেতু’ অন্তত ৪০ জন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, যাতে সকলে করোনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান সর্বদাই পান। পঞ্চমত, আজ প্রধানমন্ত্রী বিজেপি কর্মীদের একদিকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্সে দান করতে, আবার একইসঙ্গে প্রত্যেক বিজেপি কর্মীকে বুথ এলাকায় ৪০ জন মানুষের থেকে দানসংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ আজ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সাধারণ মানুষের থেকে দান সংগ্রহ করতে নামবে। দলের প্রতিষ্ঠাদিবসে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দলের থেকে দেশ বড়।
দেশে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে, সেটা দেখে ইতিমধ্যেই কিছু রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখিতভাবে আবেদন করেছে লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার দরকার। গত কয়েকদিন ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রক হটস্পট, ক্লাস্টার ধরে ধরে চিহ্নিত করতে শুরু করেছে কোন কোন রাজ্যে এবং কোন কোন জেলায় করোনার সংক্রমণ প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে ৬২টি জেলায় এই প্রবণতা সবথেকে বেশি। পাশাপাশি আজ কেন্দ্র জানিয়েছে, খাদ্যসঙ্কটের কোনও সম্ভাবনা নেই। আরও ৫ লক্ষ মাস্ক অর্ডার করা হয়েছে। অর্ডার করা হয়েছে ভেন্টিলেটরও। করোনার সঙ্গে যুদ্ধে জয় আসতে এখনও দীর্ঘ পথ হাঁটতে হবে, দেশবাসীকে এই বার্তাই দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।