কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রবিবার রাত ন’টায় ছিল ন’মিনিটের দীপ জ্বালানো কর্মসূচি। আগামী বুধবার, ৮ এপ্রিল, সকাল ১১টায় লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংসদীয় দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স। তার আগে এদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক নেতানেত্রীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ফোনালাপ যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁদের আলোচনায় সংক্রমণকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো কিংবা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করে কিছু রাজ্যের কিছু এলাকায় কড়াকড়ি বজায় রাখা নিয়ে কথা হয়েছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি।
তবে, এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে এআইসিসি’র মুখপাত্র তথা মহিলা কংগ্রেসের প্রধান সুস্মিতা দেব বলেছেন, ১৪ এপ্রিলের পরেও কিছু এলাকায় লকডাউন চলবে কি না, তা সরকার ঠিক করবে। তবে এটুকু বলতে পারি, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রুখতে সরকারের পাশে আছে কংগ্রেস। লকডাউন বাড়লেও তা যেন কোনওভাবেই এখনকার মতো প্রস্তুতিহীন না হয়, সেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
ওদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত ঘন বসতিপূর্ণ দেশ হলেও এখানে করোনার সংক্রমণ যথেষ্ঠ নিয়ন্ত্রণে। তবে তবলিগ-ই-জামাতের জেরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আচমকাই বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছে কেন্দ্র। তাই দেশজুড়ে লকডাউন উঠলেও কিছু এলাকায় মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে ১৪৪ ধারার মতো কড়া নিয়ম লাগু করতে বলা হতে পারে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার লাফিয়ে বাড়ছে, নাকি নিয়ন্ত্রণে, তা দেখেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, রাজ্যগুলির সহায়তায় সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্র উদ্যোগ নিলেও এখনও পর্যাপ্ত টেস্ট হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট। সেই মতো সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে বলেছেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যথেষ্ট টেস্ট হচ্ছে না। কটাক্ষের সুরে এও বলেছেন, কেবল তালি আর আকাশের দিকে লক্ষ্য করে টর্চ জ্বালালে করোনা পালাবে না। সমস্যারও সমাধান হবে না। সবার আগে সরকার জোর দিক পরীক্ষায়। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, যুদ্ধের সময় যেমন সেনাবাহিনী দেশকে রক্ষা করে, একইভাবে করোনার সঙ্গে লড়াই করছে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাই অন্য কোনও কর্মসূচির আগে তাঁদের নিরাপত্তা আর সুস্বাস্থ্যের দিকেই সরকারের জোর দেওয়া উচিত।