বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সরকারি সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময় দেখা যায়, কোনও ইএসআই গ্রাহক কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের আওতায় থাকা ডিসপেনসারিতে চিকিৎসার জন্য এলে আদৌ তাঁর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন আছে কি না, তা ভালো করে খতিয়ে না দেখেই ওই গ্রাহককে ইএসআইসির কোনও হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। এতে অনেক সময়ই যেমন হাসপাতালেও রোগীদের ভিড় বৃদ্ধি পায়, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকেরও হয়রানি হয়। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই সারা দেশের মোট ৩০টি ইএসআইসি হাসপাতালে ৮৯৮টি আইসোলেশন বেড তৈরি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রমমন্ত্রক। মনে করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে যাতে অযথা ডিসপেনসারিগুলি থেকে ‘রেফার’ হওয়া রোগীরা ইএসআইসি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ভিড় না বাড়ান, তা সুনিশ্চিত করতেই এহেন পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এমনিতেই শনিবার, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত ইএসআইসি হাসপাতালে খুব জরুরি নয় এমন অস্ত্রোপচার, রুটিন ডেন্টাল ওপিডি এবং ফিজিওথেরাপি পরিষেবা বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম। প্রয়োজনে এই সময়সীমা আরও বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর। পাশাপাশি ডিসপেনসারি এবং হাসপাতালগুলিকে ইএসআইসি নির্দেশ দিয়েছে, অপেক্ষা করার সময় রোগী এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা যাতে করোনা স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে দূরত্ব বজায় রাখেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে টোকেন অথবা অন্য কোনও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে রোগীরা একই জায়গাতে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য না হন। ভিড় এড়ানোর জন্য প্রয়োজনে ওপিডিগুলোকে হাসপাতালের অন্য প্রশস্ত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায়।