পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ভারতকে দেওয়া বিপুল অর্থ করোনা আক্রান্তদের স্ক্রিনিং, কন্টাক্ট ট্রেসিং, গবেষণাগারে চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নতি, চিকিৎসাকর্মীদের হাতে পিপিই কিট পৌঁছে দেওয়া এবং নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজে ব্যয় করা যাবে। পাশাপাশি, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মারণ ভাইরাসে ভারতে ২ হাজার ৩০০-র বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ৫৬ জন। এছাড়া, টানা ২১ দিন লকডাউন চলায় বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শোধরাতেও বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থ ব্যবহার করতে পারবে ভারত।
তবে শুধু ভারত নয়, মারণ ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে থাকা ২৫টি দেশকে তাত্ক্ষণিক ভিত্তিতে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। যদিও এর একটা বড় অংশই ভারতকে দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি, খুব শীঘ্রই আরও ৪০টি দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ছাড়াও পাকিস্তান (২০ কোটি ডলার), আফগানিস্তান (১০ কোটি ডলার), মালদ্বীপ (৭ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার) ও শ্রীলঙ্কাকেও (১২ কোটি ৮০ লক্ষ ৬০ হাজার ডলার) আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। একই সঙ্গে,আগামী ১৫ মাসের মধ্যে গরিব দেশগুলিকে ১৬ হাজার কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস। পাশাপাশি, বর্তমান পরিস্থিতিতে গরিব দেশগুলির ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সময় ছাড় দেওয়ার ব্যাপারেও উদ্যোগী হয়েছেন তিনি । অন্যদিকে, করোনার ধাক্কায় গোটা বিশ্বে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৪.১ লক্ষ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি)-এর রিপোর্টে। তবে, সংস্থার কর্তাদের মতে, ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। কারণ, মারণ করোনার জেরে সামাজিক ও আর্থিক সমস্যা এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, এই রিপোর্টে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।