রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের ৭৬ শতাংশই ইন্দোরের বাসিন্দা। ইন্দোর শহরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের দু’টি ‘হটস্পট’-এর মধ্যে অন্যতম হল তাতপট্টি। ইতিমধ্যে সেখানে দু’জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তার জেরে ৫৪টি পরিবারকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সেইমতো বুধবার তাতপট্টি এলাকায় সংক্রমণের খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন পাঁচ স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের একটি দল। তখনই তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধরও করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, আকাশি রঙের পিপিই পরা স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে ছুটে পালাচ্ছেন। আর তাঁদের লক্ষ্য করে লাঠি ছোঁড়া হচ্ছে। প্রথমে কয়েকজন ব্যক্তি স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রমণ করে। পরে সেই উত্তপ্ত জনতার সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পাথরের ঘায়ে আহত হয়েছেন দুই চিকিৎসকও। গোটা ঘটনাই ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
তবে শুধু ইন্দোর নয়, বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের সরাইপাল্যের একটি এলাকায় করোনা সংক্রমণের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আশাকর্মীরা হেনস্তার শিকার হন। এক কর্মী গোটা ঘটনার ভিডিও করেন। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হেগনগরের বাসিন্দারা আশাকর্মীদের ঘেরাও করেছেন। কাঁদতে কাঁদতে কৃষ্ণবেণী নামে এক আশাকর্মী বলছেন, করোনা সচেতনতার প্রচার চালানোর পাশাপাশি গত ১০ দিন ধরে সংক্রমণের তথ্য সংগ্রহ করছি। কিন্তু, আমরা এলাকায় আসতেই এক ব্যক্তি কারণ জিজ্ঞাসা করেন। কারণ জানাতেই আমাদের বলা হয়, এখনই এখান থেকে চলে যান। পরক্ষণেই আমাদের ব্যাগ, মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বলা হয়, অভিযুক্ত হেনস্তাকারীদের কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
এছাড়া লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে অসমের ভবানীপুর এলাকায় বাজার বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বাজালির জেলাশাসক। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর গাড়ি। প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই করোনা আক্রান্ত এক রোগীর আত্মীয়স্বজনের হাতে হায়দরাবাদের গান্ধী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা হেনস্তা হয়েছিলেন। এছাড়া গুজরাতের সুরাতে উত্তপ্ত জনতার হাতে বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী নিগৃহীত হয়েছিলেন।