কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, জামা কাপড়ের দোকানের মালিক ওই ব্যক্তি গত ২৩ মার্চ থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। কাশিও ছিল। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় তাঁকে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মৃত ব্যক্তি যে বাড়িতে থাকতেন তা সিল করা হয়েছে। আশপাশের আরও ৩০০টি বাড়ি ও ৯০টি দোকানও ঘিরে ফেলে বন্ধ করে দেয় পুলিস। সেখানকার সাত বাসিন্দাকে ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ধারাভি বস্তিতে সংক্রমণ ধরা পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছিল আগেই। আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুতে সেই আশঙ্কা বেশ কয়েকগুণ বেড়েছে। কারণ ধারাভি বস্তি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ এশিয়ার এই বৃহত্তম বস্তিতে বাস করেন। ফলে সেখানে সংক্রমণ ও করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের কপালে স্বভাবতই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্বেগ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে নতুন সংক্রমণের খবর। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের ধারাভি বস্তিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও একজন। বস্তিতে মৃত ব্যক্তির মতো আক্রান্তের বাড়ির লোকজন এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা সবাইকেই প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ের পর কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আক্রান্ত ব্যক্তি ধারাভি বস্তির স্থায়ী বাসিন্দা নন। সারা দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা চারশোর কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা ১৩। এই পরিস্থিতিতে ধারাভি বস্তির মতো ঘিঞ্জি এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে তা ভয়াবহ আকার নেবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কোনওভাবেই ধারাভি বস্তিতে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করাই এখন প্রশাসনের লক্ষ্য।