গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুরে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই দিল্লির মতোই একটি জমায়েত হয়েছিল। সেখানে হাজির হয়েছিল ১৬ হাজার সদস্য। ওই সমাবেশ সমাপ্ত হওয়ার পরই কিন্তু মালয়েশিয়ার করোনা সংক্রমণ একধাক্কায় প্রচুর বাড়তে থাকে। আর প্রতিটি সংক্রমণ ও মূত্যুর সঙ্গে এই সংগঠনের ওই সমাবেশের যোগসূত্র পাওয়া যায়। তা সত্ত্বেও কেন ওই একই অনুষ্ঠান দিল্লিতে আয়োজন করা হল, সেই একই সদস্যদের ডেকে এনে? ওই অনুষ্ঠানে ৭০টি দেশ থেকে ২ হাজার বিদেশি সদস্য অংশ নেয় বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানতে পেরেছে। এঁদের মধ্যে ৮২৪ জন নিজামুদ্দিন থেকে বেরিয়ে গিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচারের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানায় গিয়েছেন এই সদস্যরা। এই এতজন বিদেশি এদেশে ঢুকে এতদিন ধরে ঘুরে বেড়াতে পারলেন কীভাবে? ভারত সরকারের ব্যুরো অব ইমিগ্রেশন এদেশে ঢোকা বিদেশিদের তালিকা আগেই দিয়ে দেয় বিদেশ মন্ত্রককে। ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে ঢোকা এই বিদেশি সদস্যরা রাজ্যে রাজ্যে ধর্মীয় প্রচারে কীভাবে অংশ নিল? গতকালই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে এ ব্যাপারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সক্রিয় পদক্ষেপের জন্য বলেন। দোভাল গতকাল বিকেল থেকে দিল্লি এবং দেশের বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সহায়তা চান এই সদস্যদের চিহ্নিত করার জন্য। তারপর প্রতিটি মুসলিম সংগঠনের সংগঠক ও প্রধানদের পক্ষ থেকে রাজ্যে রাজ্যে শাখাগুলিকে বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যেকে যেন এগিয়ে এসে স্পষ্ট জানায় যে, কারা ওই সমাবেশগুলিতে অংশ নিয়েছে। এরপরই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, রাজ্য পুলিশের সমন্বয়ে অনেক বেশি বেশি সন্ধান আসতে শুরু করে। স্বাস্থ্যদপ্তরগুলির কাছে রিপোর্ট আসতে শুরু করে তবলিগ-ই-জামাতের সদস্যদের উপসর্গের কথা। বস্তুত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঝড়েত গতিতে বেড়ে চলেছে সংক্রমণের সংখ্যা, যাদের সঙ্গে যোগসূত্র আছে এই সমাবেশের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তো বটেই, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আতঙ্কও একটাই, সামাজিক সংক্রমণের সূত্রপাত না হয় এবার!