গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আক্রান্তের সংখ্যায় অবশ্য দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ইতিমধ্যেই ৩৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে কেরল। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৫। এরপরে রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানা। তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৪। দিল্লিতে ১২০, কর্ণাটকে ১০৫, রাজস্থানে ১০৮ ও তেলেঙ্গানায় ৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর নিরিখেও দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে মৃতের সংখ্যা ১২। তারপরে রয়েছে গুজরাত। সেখানে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা সংক্রমণে এই প্রথম মৃত্যু হয় উত্তরপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, গত দু’দিন আগে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে ২৫ বছর বয়সি এক যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি লিভার ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। ওই যুবকের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন কলেজের প্রধান। বিহারেও নতুন করে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন বেগুসরাই ও নালন্দার দুই বাসিন্দা। সম্প্রতি তাঁরা আবু ধাবি ও দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। এর ফলে ওই রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২৩। মৃত্যু হয়েছে একজনের। সুস্থ হয়েছেন এক আক্রান্ত। বুধবার অসমে নতুন করে পাঁচজন সংক্রামিত হয়েছেন। তাঁরা সকলেই দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের ধর্মীয় জমায়েতে গিয়েছিলেন।
এদিকে, দিল্লির সরকারি হাসপাতালের তিন চিকিৎসকের দেহে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। জানা গিয়েছে, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ৩২ বছর বয়সি চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত। তাঁর স্ত্রী সফদরজঙ্গ হাসপাতালের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক। তিনিও কোভিড-১৯ পজিটিভ। এছাড়াও করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন দিল্লি স্টেট ক্যানসার ইন্সটিটিউটে কর্মরত এক সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকও।
করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট কিট, এন৯৫ মাস্ক ইত্যাদি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে বলেই এদিন দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
এদিন করোনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবার তিনি জানান, করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা করতে গিয়ে কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে দিল্লি সরকার। চিকিৎসক, নার্স , সাফাইকর্মী সকলের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে। অপরদিকে, রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া শুরু করল কেরল সরকার। তবে এর জন্য যাতে ভিড় না হয়, তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, যাঁদের রেশন কার্ডের শেষ নম্বর ০ বা ১, তাঁদের ১ এপ্রিল রেশন দেওয়া হবে। যাঁদের কার্ডের শেষ নম্বর ২ বা ৩, তাঁদের ২ এপ্রিল, যাঁদের কার্ডের শেষ নম্বর ৪ বা ৫, তাঁদের ৩ এপ্রিল রেশন দেওয়া হবে। শেষ নম্বর ৬ বা ৭ হলে তাঁদের ৪ এপ্রিল এবং শেষ নম্বর ৮ বা ৯ হলে তাঁদের ৫ এপ্রিল রেশন দেওয়া হবে। তবে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি রেশন দোকানে আসতে পারবেন না।