গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সূত্রের খবর, কর্পোরেশনের সিংহভাগ কার্যালয় বন্ধ থাকায় করোনা পরিস্থিতিতে বরানগরে ইএসআই উপভোক্তা এক কোভিড ১৯ আক্রান্তকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায় রাজ্যের কর্তাদের। বহু কষ্টে একে-তাঁকে অনুরোধ করে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই সমস্যা হয়েছে মঙ্গলবারও। ফুলবাগানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি এক ইএসআই উপভোক্তার করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁর নমুনা পাঠানো হয় পিজি হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রে। নেহাত সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। না হলে ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হতো বলে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্য ইএসআই কর্তারা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কর্তাদের টেলিফোনে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়েছে।
ইএসআই-এর সহ অধিকর্তা (পরিকল্পনা) ডাঃ রাজীব গণচৌধুরীর অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও ওঁরা ‘কোভিড ১৯’-এর সময়েও অফিস খুলছেন না। একাধিক রাজ্য কর্তার বক্তব্য, এর ফলে অর্থকরী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, হাসপাতালের সংস্কার কাজ সহ বহু বিষয় আটকে রয়েছে। ইএসআই উপভোক্তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সুপারস্পেশালিটি পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করে ইএসআইসি। তারা কিছুদিন আগেই একাধিক বড় হাসপাতালের সঙ্গে টাই আপ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে কোভিড ১৯-এর রোগী ভর্তি করার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা হয়েছে এবং হতে পারে। শ্রমিকদের ‘সিক লিভ’ অনুযায়ী বেতনের একটি অংশ দিয়ে থাকে ইএসআইসি শাখা অফিসগুলি। সেগুলি বন্ধ থাকায় লকডাউনের মধ্যে তাঁরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। রাজ্য সরকারের শ্রম প্রতিমন্ত্রী ডাঃ নির্মল মাজি বলেন, মারাত্মক বিষয়। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ইএসআইসি’র আঞ্চলিক অধিকর্তা অক্ষয় কালা তিরস্কারের ভঙ্গিতে পাল্টা দাবি করেন, শাখা অফিসগুলি খোলার দরকার নেই। সরাসরি ভাতা উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে চলে যায়। প্রধান অফিসে আমি নিজে গিয়েছি। হ্যাঁ, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ন্যূনতম কর্মী নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। সংস্কার সহ অর্থকরী বিষয় নিয়েও সমস্যা হবে না। হাসপাতালে টাই আপ তিন মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।