কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
করোনা সংক্রমণে দেশের মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। সেখানে মঙ্গলবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ জন। যা একদিনে সর্বোচ্চ। ফলে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০২ জন। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। করোনার জেরে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের মার্চ মাসের ৬০ শতাংশ বেতন কাটার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। এদিন বেরিলিতে নতুন করে পাঁচজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। যার জেরে এদিন উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১০০। নয়ডায় কর্মরত এক যুবক এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবারের ছ’জনের লালারস পরীক্ষা করা হয়। সেখানে পাঁচজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তরা সুভাষ নগরের বাসিন্দা। এর ফলে সুভাষনগরকে কেন্দ্র করে পাঁচ কিমি এলাকা সিল করে দিয়েছে প্রশাসন।
কেরলে এদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধ। পোথেনকোড়ের বাসিন্দা ওই রোগী গত পাঁচদিন ধরে তিরুবনন্তপুরম মেডিক্যাল কলেজে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। উচ্চরক্তচাপ এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ওই বৃদ্ধ। এ নিয়ে দক্ষিণী এই রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারালেন দু’জন। গত সোমবার কেরলে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩২ জন। মঙ্গলবার রাজস্থানে নতুন করে কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন চারজন। ফলে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৩।
সোমবার রাত থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে এক লাফে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১৭জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও ১৪৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। একইভাবে ছত্তিশগড়ে ২২ বছরের এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর বাড়ি কোর্বা জেলায়। ওই ব্যক্তি পড়াশুনোর জন্য লন্ডন গিয়েছিলেন। গত ১৮ মার্চ তিনি মুম্বই হয়ে কোর্বা ফেরেন। ঠান্ডা ও সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন ওই যুবক। সোমবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার জেরে ছত্তিশগড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট।
আর পাঁচটা রাজ্যের মতো এদিন মধ্যপ্রদেশেও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। গত কয়েকদিনের মধ্যে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ জন ইন্দোরের এবং বাকি একজন ভোপালের। এর ফলে মধ্যপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৫। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। মঙ্গলবার গুজরাতে নতুন করে তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৭৩। নতুন করে যে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি আমেদাবাদ, তৃতীয় ব্যক্তি রাজকোটের বাসিন্দা। যার জেরে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭।
পাঞ্জাবে এদিন প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ। ফলে এ রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার। এই নিয়ে গত তিন দিনে প্রাণ হারালেন তিনজন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪১। জম্মু ও কাশ্মীরে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ছ’জন। যার জেরে সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৫। এই পরিস্থিতি সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। বিদেশ বা দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে রাজ্যে আসা ব্যক্তিদের জানাতে দু’দিনের সময়সীমা দিয়েছে প্রশাসন। নির্দেশিকায় ১ মার্চের পর কারা রাজ্যে এসেছেন তা স্বেচ্ছায় ঘোষণা করতে বলা হয়েছে। ভ্রমণের নথি থাকা ব্যক্তিদের কাছে এটাই শেষ সুযোগ। তা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে, গোটা দেশের মধ্যে ভালো অবস্থা ওড়িশার। গত সোমবার ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিটা রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। এ নিয়ে মোট ৪৭৩ জনের লালারস পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মাত্র তিন জনের রিপোর্ট পজিটিভ।