পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউনপর্বে ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ। ১৩ এপ্রিল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। কথা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, করোনা নিয়ে সত্যিই ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু যখন আমাদের রাজ্যেই তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, খুব খুশি হয়েছি। আর ভয় নেই, আপনারাও কেউ ভয় পাবেন না। তবে সতর্ক থাকুন। আতঙ্ক ছড়াবেন না। রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে আপনাদের পাশে আছে। লকডাউন চললেও জরুরি পরিষেবা চালু রাখতে হবে। ওষুধ সরবরাহকারীদের যাতায়াতে যেন অসুবিধা না হয়, তা দেখতে হবে। সামনের দু’ সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবারই সাবধানে থাকা উচিত। দূরত্ব বজায় রাখুন। যদি কেউ স্বেচ্ছায় কাজ করতে চান, সেই সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ০৩৩ ২৩৪১ ২৬০০ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
রক্ত সঙ্কটের কথা স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আগামী একমাস ধরে রক্তদানের ব্যবস্থা করা হবে। দিনে ৫০ জন করে রক্ত দিতে পারবেন। পুলিসই সেই আয়োজন করবে। জেলাতেও পুলিস সুপাররা একইভাবে রক্তদানের আয়োজন করবেন। কোনও রাজনৈতিক দলকে এখন রক্তদানের অনুমতি দেওয়া হবে না। সরকারি কর্মীরা কেউ চাইলে এক মাসের অগ্রিম বেতন নিতে পারবেন।
সেই সঙ্গে কড়া ভাষায় তিনি বলেছেন, কোনও ‘ফেক’ নিউজ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেস্ট না করে কারও করোনা হয়েছে, এমনটা বলা যাবে না। কোনও ব্যক্তিকে ডাক্তার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে বললে, তিনি যদি তা না মানেন, তাহলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিসকে এদিন নরমে-গরমে চলার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পুলিস কড়াকড়ি করবে, কিন্তু বাড়াবাড়ি নয়। অনেক বন্দিকেও ছাড়া হবে। ভবঘুরেদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে পুলিসকে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে চাল-গম দেওয়া হবে, এদিন আরেক ধাপ এগিয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এর মধ্যে কুড়ি লক্ষ হতদরিদ্র মানুষকে অতিরিক্ত পাঁচ কেজি করে চাল-গম দেওয়া হবে।